জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এক একটি রত্নের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন গ্রহের সম্পর্ক রয়েছে। সেই কারণে সব রত্ন সকলের ভাগ্যে সয় না। পৃথক পৃথক রত্নধারণের বিশেষ কিছু নিয়মও রয়েছে। সেগুলি সঠিক উপায় মেনে না পরলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তবে সঠিক উপায় মেনে, আপনার জন্মছকের সঙ্গে সম্পর্কিত রত্ন যদি পরতে পারেন, তা হলে জীবনে সুপরিবর্তন আসবে নিশ্চিত। তেমনই এক কার্যকরী রত্ন হল পোখরাজ। জন্মছকে বৃহস্পতির অবস্থান দুর্বল থাকলে পোখরাজ ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। দাম বেশি হলেও পোখরাজ শায়িত ভাগ্যকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে যদি সহ্য হয় তা হলেই, নচেৎ কোনও লাভই হবে না। উপরন্তু মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। পোখরাজ ধারণের বিধিনিষেধ জেনে নিন।
আরও পড়ুন:
কোন কোন রাশির ব্যক্তিরা পোখরাজ পরতে পারেন?
মেষ, সিংহ, ধনু, বৃশ্চিক ও মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য পোখরাজ ধারণ শুভ হতে পারে। বিশেষ করে ধনু ও মীন রাশির অধিপতি গ্রহ বৃহস্পতি হওয়ায় এদের জন্য পোখরাজ বিশেষ কার্যকরী। যদিও সবটাই নির্ভর করে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কোষ্ঠীর উপর।
কোন কোন রাশির ব্যক্তিদের জন্য পোখরাজ শুভ নয়?
বৃষ, মিথুন, কন্যা, তুলা, মকর ও কুম্ভ রাশির ব্যক্তিদের কখনওই পোখরাজ পরা উচিত নয়। এতে এঁদের দারুণ ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়।
আরও পড়ুন:
পোখরাজ পরার নিয়ম:
- শরীরের ওজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোখরাজ ধারণের নির্দেশ দেন জ্যোতিষীরা। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, কারও ওজন যদি ৬০ কেজি হয়, তা হলে তাঁকে ৬.৫ রতির পোখরাজ পরতে হবে।
- রুপোর আংটিতে পোখরাজ পরা যাবে না। সোনা বা তামার আংটিতে বাঁধিয়ে পোখরাজ পরতে হবে।
- পোখরাজ ধারণের আগে সেটিকে শোধন করা আবশ্যিক। শোধন করার পর কোনও শুক্লপক্ষের মঙ্গলবার রত্নটিকে ধারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন:
পোখরাজ পরার উপকারিতা:
- পোখরাজ ধারণে সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতেও এঁরা মাথা ঠান্ডা রেখে ঠিক-ভুলের বিচার করতে পারে।
- জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। সাংসারিক সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- সফলতার পথে আসা সকল বাধা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
যে কোনও রত্ন ধারণের পূর্বে জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক। কোষ্ঠী বিচারে ফলের পরিবর্তন ঘটতে পারে।