রবি জীবগণের প্রাণশক্তির অন্যতম প্রধান কারক। রবির স্বরূপ প্রকালধর্মী, দৃষ্টিশক্তিকারক আত্মবিশ্বাসী গ্রীষ্ম ঋতু, অগ্নিতত্ত্ব, সামাজিক শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, রক্ষাকর্তা, রাজ্য দ্বারা সম্মান, রাজ্য জ্ঞানের আধার, স্নিগ্ধদৃষ্টি কিন্তু বর্দাক্ষু। রবির ব্যাধি- মস্তিস্কের রোগ, হৃদকম্প, গাত্রকম্প, বসন্ত, কলেরা, প্লীহা, অস্থিমজ্জার পীড়া। ধাতু- স্বর্ণ পারদ। জাত- ক্ষত্রিয়, পুরুষকারক, স্বত্বগুণী। ঔষধ- বিল্ব, পদ্ম, বার্তাকু, কুল, জায়ফল, নারকেল।
এখন দেখে নেওয়া যাক রাশিচক্রে রবির অবস্থান অনুসারে রবির প্রতিকূলতায় কীরূপ প্রতিকার করা উচিত—
১। লগ্নে রবি- সূর্যের বীজমন্ত্র ‘ওঁ হ্রীং ভগবতে শ্রী সূর্যায় নমঃ’ পাঠ আবশ্যক। পাশাপাশি প্রত্যহ সূর্যের অর্ঘ্য দান।
২। দ্বিতীয়ে রবি- গৃহে পূর্ণ ধনলক্ষী বা বৈভবলক্ষীর প্রতিষ্ঠা ও নিত্য পূজা করা কর্তব্য। ডান হাতে তামার বালা ধারণ।
৩। তৃতীয়ে রবি- বজরংবলী মন্দিরে পাঁচটি লাল জবা, পাঁচটি বাতাসা-সহ পূজা করা কর্তব্য।
৪। চতুর্থে রবি- রবির হোরা চলাকালীন অনামিকায় চুণী ধারণ করুন ও মাতঙ্গী বীজমন্ত্র জপ।
৫। পঞ্চমে রবি- লাল তামা ও স্টিলের তার পেঁচিয়ে অনামিকায় আংটি ধারণ। ও বজরংবলীবান পাঠ করা কর্তব্য।
৬। ষষ্ঠে রবি- প্রত্যহ রবির মন্ত্র ‘ওঁ হ্রীং ভগবতে শ্রী সূর্যায় নমঃ’ ও দুর্গার সপ্তশ্লোকী চণ্ডীপাঠ কর্তব্য।
৭। সপ্তমে রবি- লাল পলাশ মূল ধারণ। চামুণ্ড মন্ত্রজপে শান্তি।
৮। অষ্টমে রবি- মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপে শান্তি (১০৮ বার)।
৯। নবমে রবি- রবিবার সকালে উঠে বেদসার শিব স্তোত্র পাঠ করা কর্তব্য ও সূর্য স্তব ও ধ্যান মন্ত্র জপ করা উচিত।
১০। দশমে রবি- লাল পলাশ মূল ধারণীয় ও ললিতাদেবী স্তব ও মন্ত্র জপ।
১১। একাদশে রবি- শিবপঞ্চাক্ষর স্তোত্র বা মাতঙ্গী জপ কর্তব্য।
১২। দ্বাদশে রবি- বজরংবলীবান ও চামুণ্ডা মন্ত্র জপ কর্তব্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy