আমেরিকা-ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমে মুখ পুড়েছিল কলকাতার। শনিবার যুবভারতীর কেলেঙ্কারি জায়গা পেল খোদ লিয়োনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমে।
মেসির ‘গোট ইন্ডিয়া ট্যুর’-এর প্রথম দিনই যুবভারতীতে দর্শকদের ক্ষোভে অনুষ্ঠান শেষ করা যায়নি। মাত্র ২২ মিনিট মাঠে থেকে বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে যান মেসি। এই ঘটনা মেসির দেশের সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’ এবং ‘লা নাসিয়ন’ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে।
‘ক্লারিন’ তাদের শিরোনামে করেছে, ‘‘ভারতে মেসিকে নিয়ে বিশৃঙ্খলা: রাজনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগ এবং ফুটবল ফেডারেশন এই ঘটনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে’’। তারা প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘‘আয়োজকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দুর্নীতি এবং জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।’’ সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। লেখা হয়েছে, ‘‘চেয়ার এবং জলের বোতল ছোড়ার জন্য আর্জেন্টাইন তারকার অনুষ্ঠানটি ২২ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হয়। এর ফলেই সঙ্কট দেখা দেয়। তার পরেও ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন মেসির অনুষ্ঠানের এই ঘটনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়।’’
তারা আরও লিখেছে, ‘‘মেসিকে বিপন্ন করে তোলা হয়েছে।’’ রাজনৈতিক নেতা ও কর্মকর্তাদের ভূমিকারও নিন্দা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। ‘ক্লারিন’ লিখেছে, ‘‘সল্টলেক স্টেডিয়ামের ভিতরেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। হাজার হাজার ভক্ত উচ্চমূল্যের টিকিটের বিনিময়ে মাঠে এসেছিলেন। কিন্তু রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তাদের প্রাচীর দর্শকদের মেসি-দর্শনে বাধা তৈরি করে। মেসির সঙ্গে নেতা-কর্তারা ছবি তোলার জন্য গোটা অনুষ্ঠান বিঘ্নিত হয়।’’
আর্জেন্টিনার আর এক সংবাদমাধ্যম ‘লা নাসিয়ন’ যুবভারতীর ঘটনাকে ‘গুরুতর দাঙ্গা’ বলেছে। তারা লিখেছে, ‘‘ভারতের কলকাতার একটি স্টেডিয়ামে লিয়োনেল মেসির সফর শনিবার শেষ হয় তারকা খেলোয়াড়ের তাড়াতাড়ি মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের কেলেঙ্কারির নিন্দা করেছেন দর্শকেরা।’’
‘ইনফোব’ সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম, ‘লিয়োনেল মেসির ভারত সফরের ফলে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা: জনতা স্টেডিয়াম ভাঙচুর করেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে’’।
যুবভারতীর ঘটনা আগেই প্রকাশ করেছিল আমেরিকার ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ থেকে শুরু করে ব্রিটেনের ‘গার্ডিয়ান’, ‘বিবিসি’। যুবভারতীর বিশৃঙ্খলার বর্ণনা করেছিল স্পেন, ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমেও। বোঝাই যাচ্ছে, যেহেতু আন্তর্জাতিক চরিত্র মেসি এবং তিনি গোটা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয়, তাঁকে ঘিরে যে ঘটনা শনিবার কলকাতায় ঘটেছে, তাতে বিচলিত বিদেশি সংবাদমধ্যম। খোদ মেসির দেশ আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমও এই ঘটনা প্রকাশ করা থেকে বাদ গেল না।