সব মানুষই চান যে নতুন বছরটা তাঁদের ভাল কাটুক। তাই ডিসেম্বর থেকেই পরের বছর জীবন থেকে কী কী বাদ দিতে হবে আর কোন বিষয়গুলিতে নিজেকে আরও ভাল করে তুলতে হবে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলতে থাকে। তবে সেইমতো সর্বদা কাজ করে ওঠা যায় না। সব সময় পরিকল্পনামাফিক সব কিছু হয় না। সেটাই স্বাভাবিক। তবে বাস্তবকে খারাপ থেকে ভালর পথে আনতে সাহায্য করতে পারে জ্যোতিষশাস্ত্র। সহজ কয়েকটি টোটকা রয়েছে তা যদি পুরনো বছরের শেষ থেকেই শুরু করা যায় তা হলে নতুন বছরটি আপনার জন্য শুভ হয়ে উঠতে পারে। মনের সকল ইচ্ছা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে পারে। কর্মক্ষমতাও হবে দ্বিগুণ। কোন উপায়গুলি মেনে চলবেন দেখে নিন।
আরও পড়ুন:
নতুন বছর শুভ করে তোলার উপায়:
১. ২০২৫-এর শেষ থেকেই মন্ত্রপাঠ অভ্যাস করুন। সারা দিনের যে কোনও একটা সময় মন্ত্রপাঠ করুন। পছন্দমতো যে কোনও মন্ত্র পাঠ করা যেতে পারে। তবে গায়ত্রী মন্ত্র, শিবমন্ত্র বা হনুমান চালিশার মধ্যে কোনও একটি পাঠ করতে পারলে ভাল হয়। যদিও যে কোনও মন্ত্রোচ্চারণেরই বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। দিনের শুরুতে বা শেষে, মন থেকে সমস্ত ভাবনা দূর করে, শুদ্ধ বসন ধারণ করে হাঁটু মুড়ে বসে মন্ত্রপাঠ করুন। একাগ্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাহসও বাড়বে। খুব ভাল ফল পাবেন।
২. নতুন বছরে যে কোনও শুভ কাজে বেরোনোর সময় আপনার রাশি অনুযায়ী যে রং শুভ, সেই রঙের জামা পরে বেরোন। উক্ত রঙের জামা যদি না থাকে তা হলে সেই রঙের রুমাল সঙ্গে রাখলেও ভাল ফল পাবেন।
আরও পড়ুন:
৩. মন থেকে সকল নেগেটিভ চিন্তা বার করে দিন। সর্বদা ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখার চেষ্টা করুন। হাল ছাড়বেন না। কোনও কাজ এক বার ভেস্তে গিয়েছে বলে যে পরে গিয়েও সেটা ভেস্তেই যাবে এই প্রকার চিন্তা মাথায় আনবেন না। এতে ভাগ্যের উপর কুপ্রভাব পড়বে। ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করে চলুন, ফল নিশ্চয়ই পাবেন।
৪. বছরের প্রথম দিন একটি তেজপাতায় নিজের মনোস্কামনা লিখে প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিন। নদীর জলে ভাসাতে পারলে খুব ভাল হয়। এতে আপনার ইচ্ছাপূরণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। প্রতি মাসের পূর্ণিমার রাতে এই কাজটি করতে পারলে খুব ভাল ফল পাবেন।
আরও পড়ুন:
৫. বাড়িতে শুভ শক্তির আগমন ঘটানোর জন্য ২০২৬-এর প্রথম পূর্ণিমার দিন সন্ধ্যাবেলা সদর দরজার সামনে খানিকটা দারুচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। বাড়িতে শুভ শক্তি প্রবেশ করবে।
৬. অর্থকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে মানিব্যাগে একটি মা লক্ষ্মীর ছবি ও ফিটকিরির টুকরো রাখতে পারেন। এতে অযথা খরচ করার স্বভাব যেমন কমবে, তেমনই অর্থভাগ্যেরও উন্নতি ঘটবে।