হিন্দুশাস্ত্রে নারকেলের ব্যবহার অপরিহার্য। হিন্দুদের যে কোনও পুজোতেই ঘটের উপর শীষযুক্ত ডাব না দিলে পুজো যেন সম্পন্ন হয় না। নারকেলের নাড়ি বিনা লক্ষ্মীপুজো বা নারকেলের পুর ভরা পাটিসাপটা ছাড়া পৌষ সংক্রান্তি বাঙালি হিন্দুরা ভাবতেই পারেন না। ডাবের জল খেলে শরীরও ঠান্ডা হয়। হিন্দু ধর্মে যে কোনও শুভ কাজ শুরুর পূর্বে নারকেল ফাটানোর চলও রয়েছে। তবে এ সকল গুণ বাদেও যে নারকেলের আরও গুণ আছে সেগুলি অনেকের কাছেই অজানা। নারকেল দিয়ে কিছু টোটকা পালনের মাধ্যমে আমাদের ভাগ্যের হাল উন্নত করা সম্ভব। এর দ্বারা নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কোন কোন উপায় মানতে হবে জেনে নিন।
আরও পড়ুন:
-
আশাতীত উন্নতি হবে, সাফল্যের শিখরে পৌঁছোবেন পাঁচ রাশির ব্যক্তিরা! ২০২৬-এ পেশাক্ষেত্রে ছক্কা মারার সুযোগ পাবেন যাঁরা
-
বাড়তি প্রসাদ ডাস্টবিনে ফেললে রুষ্ট হন ভগবান! বদলে কী করবেন? প্রসাদ ফেলার জন্য কোন স্থান উপযুক্ত?
-
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে লটারি কেটে ভাগ্য বদলাতে পারে চার রাশির! বাকিরা কি লটারি থেকে দূরে থাকবেন?
নারকেলের উপায়:
১. যে সকল ব্যক্তি কালসর্প দোষে ভুগছেন, তাঁরা শনিবার দিন পাঁচ জন দরিদ্র মানুষকে একটি করে শুকনো নারকেল ও কম্বল দান করুন। শনিদেবের কৃপা লাভ করবেন। কালসর্পের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবেন।
২. গ্রহদের সেনাপতি মঙ্গলের কুপ্রভাব অত্যন্ত খারাপ। যে বাড়ির উপর তার প্রভাব পড়ে, সেই বাড়িতে একের পর এক বিপদ লেগেই থাকে। বাড়িকে মঙ্গলের রোষ থেকে বাঁচাতে যে কোনও মঙ্গলবার একটি লাল কাপড়ে নারকেল মুড়িয়ে নিয়ে সেটিকে বাড়ির চারপাশে তিন বার ঘোরান। তার পর সেটিকে কোনও প্রবাহিত জলে ফেলে দিন। খুব ভাল ফল পাবেন।
আরও পড়ুন:
৩. আর্থিক অবস্থা উন্নত করার জন্য মঙ্গলবার করে শুকনো নারকেলের উপর কমলা সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে সেটি যে কোনও হনুমান মন্দিরে অর্পণ করুন। পর পর আটটি মঙ্গলবার এই কাজটি করতে হবে। কমলা সিঁদুরটি বজরংবলির পায়ে ছোঁয়ানো হলে খুব ভাল হয়।
৪. শনিদেবের কোপ থেকে মুক্তি পেতে কোনও প্রবাহিত জলের সামনে একটি নারকেল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ‘ওম রামদূতায় হনুমতে নমঃ’ মন্ত্রটি সাত বার উচ্চারণ করে, হনুমানজি ও শনিদেবের নাম স্মরণ করে নারকেলটি জলে ভাসিয়ে দিন। সপ্তাহের যে কোনও দিন এই কাজ করা যায়, তবে শনিবার করতে পারলে বেশি ভাল হয়।