আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারণার মামলায় চার চিনা নাগরিক-সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে ৫৮টি সংস্থার নামও। এই চার চিনা নাগরিকের নির্দেশেই ভারতে বিভিন্ন শেল কোম্পানি (ভূতুড়ে সংস্থা বা বেনামি সংস্থা) খোলা হয়েছিল বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সেগুলির মাধ্যমে ২০২০ সাল থেকে প্রতারণা চালানো হয়েছে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
ঝোউ ই, হুয়ান লিউ, ওয়েইজিয়ান লিউ এবং গুয়ানহুয়া ওয়াং— এই চার চিনা হ্যান্ডলারই মূলত চক্রটিকে পরিচালনা করতেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ভারতেও কিছু মাথা ছিল এই চক্রের। গত অক্টোবরে এই প্রতারণা চক্রের অন্যতম তিন প্রধান ভারতীয় মাথাকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা। তদন্তে উঠে আসে, এই চক্র শুধুমাত্র একটি উপায়ে প্রতারণার জাল ছড়াত না। বিভিন্ন ধরনের টোপ ফেলত এই চক্র। অনলাইনে ঋণ, বিনিয়োগের ভুয়ো প্রকল্প, স্বল্প সময়ে বেশি লাভের টোপ, অস্থায়ী চাকরি, এমনকি অনলাইন গেম-এর মাধ্যমেও প্রতারণা চলত। অন্তত কয়েক হাজার মানুষকে এই প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে ‘ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার’ (আই৪সি)-এ বেশ কিছু অভিযোগ আসে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনলাইনে বিনিয়োগ এবং চাকরির নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠে আসে। ওই অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতেই তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে এই অভিযোগগুলিকে বিচ্ছিন্ন প্রতারণা বলে মনে হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
পরে তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে উঠে আসে, এটি একটি সংগঠিত চক্র। প্রতিটি ঘটনার বিশ্লেষণ করে প্রতারণায় ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন, পেমেন্ট গেটওয়ে এবং অন্য ডিজিটাল নথিতে উল্লেখযোগ্য মিল পাওয়া গিয়েছে বলে জানায় সিবিআই। তদন্ত চলাকালীন ১১১টি শেল কম্পানির একটি নেটওয়ার্কের সন্ধান পান আধিকারিকেরা।