Advertisement
E-Paper

মানুষের চেহারার গড়ন দেখে তার চরিত্র বিচার

বিচিত্র এই পৃথিবীতে মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে তার ভাগ্যের গতিপথ। কর্মের ধরন ও প্রকৃতি বলে দেয় তার ভাগ্যের উন্নতি বা অবনতির লেখচিত্র।

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০০

বিচিত্র এই পৃথিবীতে মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে তার ভাগ্যের গতিপথ। কর্মের ধরন ও প্রকৃতি বলে দেয় তার ভাগ্যের উন্নতি বা অবনতির লেখচিত্র। কিন্তু যত ক্ষণ আমরা একজন মানুষের সঙ্গে পরিচিত না হচ্ছি, তত ক্ষণ জানতে পারি না তার ভাগ্যের কাহিনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটি মানুষকে দেখেই তৎক্ষণাৎ বলে দেওয়া যায় তার প্রকৃতির মুল ধরনকে। তবে সব ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। আপনার পর্যবেক্ষণ যত নিখুঁত হবে ততই আপনি মানুষটির সম্পর্কে সঠিক ধারণায় পৌঁছতে পারবেন।

এখন দেখে নেওয়া যাক

১। কোন প্রকৃতির বা চেহারার মানুষ ঝোঁকের বশে কাজ করে থাকেন-

কোনও মাঝামাঝি দৈর্ঘের মানুষ যার শরীরে চর্বির আধিক্য নেই। চোখ একটু ছোট কিন্তু তীক্ষ্ম ও উজ্জ্বল। চুলের ধরন খোঁচা খোঁচা বা কর্কশ প্রকৃতির। পেশিবহুল শরীর। গায়ের রঙ তামাটে বা উজ্জ্বল ফর্সা। নাক লম্বা, ঠোঁট একটু পুরু। দাঁতের আকার বড়। গলা লম্বা। মাথার দু’পাশে চুলের পরিমাণ কম অর্থাৎ একটু টাক ভাব আছে। গলার স্বর জোরালো বা চেরা স্বর। কখনও তীক্ষ্ণ, কখনও বা কর্কশ। এই মানুষটিকে দেখে আপনি বুঝতেই পারবেন একটু তাড়াহুড়ো করার মানুষ ইনি। হাঁটাচলা, কথাবার্তার মধ্যে হুড়োহুড়ি ভাব বেশি। এই ব্যক্তিটির অগ্রপশ্চাৎ না ভেবে কাজ করার অভ্যাস আছে। তাই বলে দেওয়া যায় এই প্রকৃতির বা চেহারার মানুষরা ঝোঁকের বশে কাজ করে থাকেন। তবে পরিশ্রমী ও উদ্যোগী স্বভাবের জন্য খুব অল্প বয়সেই জীবনের গ্রাফটাকে ওপরের দিকে দেখতে চেয়েছেন আর সেটাকেই বাস্তবায়িত করার জন্য কতটা এবং কতভাবে চেষ্টা করা যায় তা করেছেন। এই মানুষ জীবনে একাধিক বার বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছেন। এরা জীবনটাকে খুব তাড়াতাড়ি শুরু করেন বলেই মাঝপথে হতাশ হয়ে যান।

২। কারা পরিকল্পনামাফিক জীবনটাকে এগিয়ে নিয়ে যায়-

যে সব মানুষ একটু বেঁটে, চওড়া কাঁধ, ঝাঁকড়া চুল, চওড়া বুক, প্রায়শই লোমশ হাত, মুখ চওড়া, হাতের আঙুল মোটা ও বেঁটে, চোখেমুখে একটু বিলাসী ভাব, চাঞ্চল্যের অভাব, দাঁতের সারি সাজানো। পোশাকে পরিপাট্য আছে কিন্তু বাহুল্যতা নেই, এই ধরনের মানুষদের চলাফেরায় সাবধানতা থাকে। ধীরস্থির চিন্তাভাবনা করে পরিকল্পনামাফিক জীবন এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই জীবনের পথে অগ্রসরের গতি প্রচণ্ড না হলেও প্রয়োজনমাফিক, মাপা। জীবনে ভুলের পরিমাণ কম তাই বিপর্যয় বা ভোগান্তি কম। বিষয়ের প্রতি আসক্তি থাকায় ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকবে।

আরও পড়ুন: জীবন নিয়ে দিশেহারা? সমাধান হবে এক নিমেষেই

৩। মাঝামাঝি ভাগ্যের মানুষ কারা-

যে সব ব্যক্তির গড়ন একটু লম্বা ও ছিপছিপে। স্বভাবে গাম্ভীর্যের অভাব, ছেলেমানুষি ও চাপল্যের প্রভাব বেশি। উজ্জ্বল বড় বড় টানা চোখ। চিবুকটি একটু সরু, ডিম্বাকৃতি মুখের ধরন, লম্বা বা মাঝারি গলা। হাঁটাচলায় ছটফাটনি। কথাবার্তায় হুড়োহুড়ি। দাঁতের সারি প্রায়শই সাজানো। শ্যামলা বা লালচে আভাযুক্ত গায়ের রং। এই ব্যক্তিদের কথাবার্তায় তুখোড় ভাব বুঝিয়ে দেয় কথা দিয়েই আপনাকে কুপোকাত করবে এবং বিপদে পড়লে খুব সহজেই কথার সাহায্যে উদ্ধার পায়। হাসিখুশি, চঞ্চলতার জন্য সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা থাকে, তাই জীবনের গ্রাফটাকে খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে নিয়ে দুম করে শেষ করে দেওয়ার কথা ভাবে না। তাই মাঝামাঝি ভাগ্যের মানুষ এরা। সুখ-দুঃখের নিয়ামক এরা নিজেরাই।

৪। কারা অপরের সাহায্যে ভাগ্য তৈরি করে-

যাদের চেহারায় লালিত্য ও মাধুর্যের সুষমা বেশি দেখা যায়। কোঁকড়ানো চুল, রেশমের মতো নরম ও মসৃণ ত্বক। গভীর চোখ কিন্তু জল ভরা টলটলে, চোখের দিকে তাকালে বোধ হবে চোখ ছলছল করছে। ঠোঁট সরু, ডিম্বাকৃতি মুখের গড়ন। প্রায়শই মাঝারি উচ্চতা, একটু ভারী প্রকৃতির মধ্যদেশ। হাতের এবং আঙুলের গড়ন সরু ও পাতলা। লালচে আভাযুক্ত গায়ের রং বা শ্যামলা মসৃণ, চকচকে গায়ের রঙের মধ্যে যেন আলো ঠিকরে পড়ে, এই ধরনের মানুষের মধ্যে খুবই শান্তভাব ও মনের ভিতর চাঞ্চল্য বা অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়। রসবোধ খুব ভাল থাকায় ও ব্যবহারে মিষ্টতা ও নমনীয়তা থাকায় এরা সৃষ্টিমূলক কাজেই বেশি করে নিজেকে নিয়োজিত করে। চিন্তাভাবনা করে কাজে প্রসারলাভ করলেও চঞ্চলতার কারণে একাধিক কর্ম পরিবর্তন হয়ে থাকে। ভাগ্যের গ্রাফ নিজের হাতে নিলেও পরনির্ভরশীলতার জন্য পরের দ্বারাই ভাগ্য তৈরি হয় বেশি।

person Rashi general appearance
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy