পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে থাকা প্রায় সকল বাঙালিরই মনে পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে। শুরু হয়েছে দেবীপক্ষের দিনগোনা। ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া, দেবীপক্ষের সূত্রপাত। তার ১৫ দিন আগে থেকে শুরু হয় পিতৃপক্ষ। এই বছর ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে পিতৃপক্ষ।
হিন্দুধর্মে পিতৃপক্ষের মাহাত্ম্য বিশেষ। এই সময় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করলে তাঁদের আত্মা শান্তি পায় বলে বিশ্বাস করা হয়। এ ছাড়াও, তাঁদের উদ্দেশে এই ১৫ দিন সন্ধ্যাবেলা বাড়ির নানা স্থানে প্রদীপ জ্বালালেও বিশেষ ফলপ্রাপ্তি ঘটে। এরই সঙ্গে পালন করতে হয় বিশেষ কিছু নিয়ম। এই সকল কাজ করলে যেমন পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পাওয়া যায়, তেমনই কিছু কাজ করলে তাঁরা রুষ্ট হন। ফলত জীবনে নেমে আসে অমানিশা। কয়েকটি কাজ পিতৃপক্ষ চলাকালীন ভুলেও করা উচিত নয়। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
পিতৃপক্ষ চলাকালীন কোন কোন কাজ করা উচিত নয়?
১. বাড়ি বানানো বা কোনও ব্যবসা শুরু করার মতো শুভ কাজ এই সময় করা যাবে না। কোনও মূল্যবান জিনিস কেনার থেকেও এই সময় দূরে থাকতে পারলে ভাল হয়।
২. পিতৃপক্ষের ১৫ দিন কোনও প্রকার নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করা উচিত নয় বলে মনে করা হয়। এতে পিতৃদোষের শিকার হতে পারেন।
৩. এই সময় চুল কাটা, নখ কাটা প্রভৃতি নানা ক্ষৌরকর্ম করা উচিত নয়।
৪. এই ক’দিন বাড়ির পরিবেশ শান্ত ও হাসিখুশি রাখতে পারলে খুব ভাল হয়। ঝগড়া-ঝামেলা করা থেকে বিরত থাকতে পারলে ভাল হয়।
পিতৃপক্ষ চলাকালীন কী কী করবেন?
১. পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে জল অর্পণ করুন। তাঁদের মৃত্যুতিথি মেনে তর্পণ করুন। তিথি মাথায় রেখে এই কাজ করা জরুরি।
২. তর্পণের জন্য তিল, কুশ, সাদা ফুল এবং জল ব্যবহার করুন। তর্পণের সময় পূর্বপুরুষদের নাম নিয়ে জল উৎসর্গ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তর্পণ করার পূর্বে নদীতে বা পুকুরের জলে স্নান করতে পারলে খুব ভাল হয়।
৩. ব্রাহ্মণভোজন করাতে পারলে খুব ভাল হয়।
৪. গরিবদের সাধ্যমতো দান করুন।
৫. গরু ও কুকুরদের নিয়মিত খাবার খাওয়ান।
৬. গুরুজনদের সম্মান করে চলুন। কোনও পরিস্থিতিতেই তাঁদের অসম্মান করা যাবে না।