অমাবস্যা মানেই যে সব কিছু খারাপ, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। পূর্ণিমার মতোই অমাবস্যার সঙ্গেও আধ্যাত্মিক গুণের সম্পর্ক রয়েছে। কোনও কোনও অমাবস্যা তিথিতে মা কালীকে বিশেষ এক একটি রূপে পুজো করা হয়। অমাবস্যাকে নতুন চান্দ্রমাসের সূচনা বলে মনে করা হয়। বিশেষ এই তিথিতে নানা উপায় মেনে চললে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। তেমনই কয়েকটি নির্দিষ্ট কাজ রয়েছে যেগুলি এই দিন করতে নেই। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
আরও পড়ুন:
অমাবস্যা তিথি পালনের নিয়মগুলি কী কী?
১. অমাবস্যার তিথিকে মা কালীর তিথি হিসাবে গণ্য করা হয়। তাই এই দিন যে কোনও কালী মন্দিরে বা বাড়িতে মা কালীকে লাল জবার মালা নিবেদন করুন। অপরাজিতার মালাও নিবেদন করা যেতে পারে। তারই সঙ্গে পাঁচ রকমের মিষ্টি ও নিজের হাতে ভোগ রান্না করে দিতে পারলে খুব ভাল হয়। এতে মা কালী আপনার উপর তুষ্ট হবেন।
২. অমাবস্যার দিন উপবাস রাখতে পারেন। তবে নির্জলা উপবাস রাখার দরকার নেই, বদলে ধান থেকে তৈরি জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।
৩. এই দিন গরিবদের সাধ্যমতো দান করতে পারলে খুব ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
৪. অমাবস্যার দিন নিরামিষ আহার গ্রহণে ভাল ফল পাওয়া যায়।
৫. এই তিথিতে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গঙ্গাস্নান করতে পারলে খুবই ভাল ফল পাওয়া যায়। স্নানের সময় সূর্যদেবকে মনের ইচ্ছা জানাতে ভুলবেন না।
অমাবস্যার দিন কী কী করা যাবে না?
১. এই দিন ভুল করেও তুলসীপাতা ছিঁড়বেন না।
২. অমাবস্যা তিথিতে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা উচিত নয় বলে মনে করা হয়। এতে মনের উপর নেগেটিভ প্রভাব পড়তে পারে।
আরও পড়ুন:
৩. বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে এই দিন কোনও মতে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। তাঁদের সঙ্গে উঁচু গলায় কথাও বলা যাবে না।
৪. অমাবস্যার দিন বাড়ির জন্য চাল-ডাল, অর্থাৎ কোনও শস্য জাতীয় উপাদান কেনা যাবে না।