Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

এই মাসে ঘর পাল্টালো কেতু, কোন রাশিতে কী প্রভাব জেনে নিন (শেষ অংশ)

তুলার পক্ষে গোচর কেতু তৃতীয়ে। সেই হিসাবে তুলার জাতক/জাতিকারা সব দিক থেকে শুভ ফল পাবেন। এই কর্ম উপলক্ষ্যে অনেক বার ছোটখাটো ভ্রমণ করতে হবে।

অসীম সরকার
শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

৭) তুলা লগ্ন বা তুলা রাশি: তুলার পক্ষে গোচর কেতু তৃতীয়ে। সেই হিসাবে তুলার জাতক/জাতিকারা সব দিক থেকে শুভ ফল পাবেন। এই কর্ম উপলক্ষ্যে অনেক বার ছোটখাটো ভ্রমণ করতে হবে। এই সব ভ্রমণ আপনার জীবনে নানা ধরনের উপকার দেবে। গোপন প্রেমের হাতছানি থাকবে এই সব ভ্রমণে। তাতে আখেরে লাভবান হবেন। এমনিতে তুলার জাতক/জাতিকা নম্র ব্যবহারের মানুষ। এই সময় আপনার জন্মগত বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার, কথা বলার দক্ষতা নানা ধরনের যোগাযোগ গড়ে দেবে। তার ফলে আপনি আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবেন। আপনি যদি চাকরি করে থাকেন, তা হলে এই সময় আপনার আকস্মিক ভাবে পদোন্নতি হবে। যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁদের লাভের মাত্রাটা এই সময় অবশ্যই বেশি হবে। এই সময় আগের থেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে হবে নিজেকে।

৮) বৃশ্চিক লগ্ন বা বৃশ্চিক রাশি: বৃশ্চিকের পক্ষে গোচরে কেতু দ্বিতীয়ে। এই সময় আপনার আর্থিক অবস্থা খুব ওঠানামা করবে। বিশেষ করে আপনি যদি অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকেন। এই সময় কারও কাছ থেকে টাকা ধার নেবেন না, আবার ধারও দেবেন না। এই সময়ে আপনি আপনার ভাষার ব্যবহারে খুব সাবধানী হন। আপনার ব্যবহারে মিত্র শত্রুতে পরিণত হতে পারে। পরিবার বা অফিসের সহকর্মীর সঙ্গে কোনও বিতর্কে যাবেন না। খুব অল্প সময়ের জন্য আপনি আপনার পরিবার বা স্ত্রীর থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হবেন। হঠাত্ করে এই সময়ে আপনার আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে না।

প্রতিকার: নীলফুল দিয়ে মন্দিরে গিয়ে আপনার প্রিয় দেবতার পূজা করুন।

৯) ধনু লগ্ন বা ধনু রাশি: ধনুর পক্ষে নিজের ঘরে গোচর কেতু অর্থাৎ প্রথম ঘরে। এই সময় আপনি নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করবেন। এই সময় আপনার মনের গতি ভাল থাকবে না। লোকের ভাল কথা আপনার বিরক্তি সৃষ্টি করবে। বৈবাহিক জীবনে এমন সব ঘটনা ঘটবে, যাতে মনে হবে বিয়ে করে ভুল হয়েছে। কিছু দিনের জন্য বিচ্ছেদও হতে পারে। জীবনে আর্থিক অনটন দেখা দেবে। যত কষ্ট করে সংসার চালান না কেন, বাজারে আপনার দেনা বেড়ে যাবে। কোনও পুরনো রোগ এই সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

আরও পড়ুন: এই মাসে ঘর পাল্টালো কেতু, কোন রাশিতে কী প্রভাব জেনে নিন (প্রথম অংশ)

প্রতিকার: এই সময় মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করে যান।

১০) মকর লগ্ন বা মকর রাশি: মকরের দ্বাদশে কেতু। দ্বাদশে গোচর কেতু নানা ভাবে কষ্টভোগের মধ্যে ঠেলে দেয়। যত ভাল ভাবেই ব্যবসা চালানো হোক না কেন, কোনও ভাবেই এই সময়ে তেমন লাভ আসে না। যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁরা এক এক সময়ে নাজেহাল হয়ে ওঠেন। কী করবেন ভেবে উঠতে পারেন না। কর্মক্ষেত্রে বা যে কোনও কাজই করতে যাওয়া হোক না কেন, কিছু না কিছু বাধা থাকবেই। তবে এই সময়ে বাইরে, মানে জন্মস্থানের বাইরে গিয়ে কাজ, তা চাকরি বা ব্যবসা যা-ই হোক না কেন, ভালই ফল দেয়। এই জাতক/জাতিকা ও তাঁদের সন্তানেরা কোনও না কোনও রোগে ভোগে, তার জন্যে অনেক সময় প্রচুর খরচ করতে হয়। এই সময়ে অনেকে ধ্যান করেন মনের শান্তি পাওয়ার জন্য।

প্রতিকার: এই সময় যদি সম্ভব হয় গরিবকে নানা রঙের কম্বল বিতরণ করলে কেতুর কুপ্রভাব কেটে যায়।

১১) কুম্ভ লগ্ন বা কুম্ভ রাশি: কুম্ভের একাদশে কেতু। একাদশ যেহেতু লাভস্থান, সেইহেতু এই সময়ে কুম্ভের জাতক/জাতিকারা নানা দিক থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকে। তা সে চাকরি থেকেই হোক বা ব্যবসাই হোক। এই সময় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা বেড়ে যায়। এই সময় এমন কারও সঙ্গে দেখা হয়, যে গত জন্মে ছিল আপনার বন্ধু। এই রকম ভাবে প্রতি ১৮ বছর অন্তর এক জন বা দু’জনের সাক্ষাৎ হয়ে থাকে। তার কারণ, কেতু হচ্ছে গত জীবনের প্রধানতম কারক গ্রহ। যাঁরা আয় করতে চান, তাঁরা এই সময়কে আয়ের জন্য কাজে লাগালে, বিস্তর লাভ করবেন। ছাত্রছাত্রীরা এই সময়ে উচ্চশিক্ষার জন্য চেষ্টা করলেও সে ভাবে সাফল্য লাভ করতে পারে না।

প্রতিকার: ভাল জাতের ৫ বা ৬ রতির পান্না ধারণ বিশেষ কর্তব্য।

১২) মীন লগ্ন বা মীন রাশি: মীনের দশমে কেতু। এই গোচর কেতু কাজের ক্ষেত্রে বা চাকরিস্থলে ভীষণ চাপ বাড়িয়ে দেয়। ফলে পরিবারকে সময় দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অনেক সময় মনে হয় চাকরি ছেড়ে দেওয়াই ভাল। তবে এই সময় ব্যবসা বা চাকরিতে নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে অর্থ এসে থাকে। এই সময় মাকে নিয়ে বা মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক খরচ হয়।

প্রতিকার: তিলের তেল সাধ্যমতো দান করা কর্তব্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ketu কেতু Rashi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE