Advertisement
E-Paper

কর্কট লগ্নের মাঙ্গলিক দোষ ও তার সাধারণ প্রতিকার

অনেক সময়েই আমরা একটা কথা শুনে এসেছি, সেটা হল কেউ নাকি মাঙ্গলিক। অর্থাৎ তাঁর নাকি জন্মছকে মাঙ্গলিক দোষ আছে। এর জন্য অনেকে অনেক কিছু প্রতিকার করেন। মূলত নাকি বৈবাহিক জীবনের সঙ্গে এই মাঙ্গলিক যোগের সম্পর্ক রয়েছে।

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:০৫

অনেক সময়েই আমরা একটা কথা শুনে এসেছি, সেটা হল কেউ নাকি মাঙ্গলিক। অর্থাৎ তাঁর নাকি জন্মছকে মাঙ্গলিক দোষ আছে। এর জন্য অনেকে অনেক কিছু প্রতিকার করেন। মূলত নাকি বৈবাহিক জীবনের সঙ্গে এই মাঙ্গলিক যোগের সম্পর্ক রয়েছে। মাঙ্গলিক দোষ থাকলে বিবাহিত জীবন ভাল হয় না, শরীর খারাপ হয়, আরও কত কী! কিন্তু আমাদের ভাল করে জানা উচিত যে, আসলে কাকে বলে এই মাঙ্গলিক দোষ আর তা থাকলে ঠিক কী করণীয়।

জন্মকুণ্ডলীতে লগ্ন থেকে প্রথম, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম আর দ্বাদশে মঙ্গলের প্রভাবে মাঙ্গলিক দোষ হয়। এর সঙ্গে আবার খারাপ গ্রহ যেমন কেতু যুক্ত হলে খারাপ ফলের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর শুভ গ্রহ থাকলে সেই শুভত্ব খর্ব হয়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক আপনার লগ্ন যদি কর্কট হয়ে থাকে, তবে আপনার লগ্নের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে কী ফল দেয়:

আরও পড়ুন: মিথুন লগ্নের মাঙ্গলিক দোষ ও তার সাধারণ প্রতিকার

কর্কট লগ্নে মঙ্গল স্থিত হলে জাতক সুন্দর হলেও মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা থাকতে পারে। স্ত্রী, বাবা বা সন্তান থেকে সুখের অভাব থাকে। তবে মায়ের আশীর্বাদ পান এঁরা। জমি বাড়ির যোগ থাকে। উচ্চশিক্ষায় বাধা আসে। চতুর্থ ঘর অর্থাৎ তুলায় মঙ্গল থাকলে ব্যবসায় প্রভূত উন্নতি হয়। জীবনে সুখী ও ধনী হয়। বিদ্যা বুদ্ধিতে উন্নতি হয়। সন্তান সুখ লাভ করে। ক্ষেত্রবিশেষে বিদেশ যাত্রা যোগও থাকে।

সপ্তম ঘর অর্থাৎ মকরে মঙ্গল থাকলে ব্যবসায় সফল হয়। সাহসী, পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান হয়। প্রচুর পরিমাণে মহিলা সংসর্গ ঘটে। আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়। স্বাস্থ্য নিয়ে নানা সমস্যা হয়। পারিবারিক জীবন ভাল হয় না।

অষ্টম ঘর অর্থাৎ কুম্ভে যদি মঙ্গল স্থিত হয় তবে ব্যবসা, বিদ্যা, সন্তানক্ষেত্রে হানিযোগ থাকে। স্বাস্থ্য ও পারিবারিক জীবন ভাল হয় না।

দ্বাদশ অর্থাৎ মিথুনে মঙ্গল স্থিত হলে জাতক ব্যবসায়ে কঠিন পরিশ্রমে সাফল্য পান এবং বিদ্যাবুদ্ধি কম হয়। ভাইবোনের প্রিয় না হলেও শত্রুকে বশে রাখতে পারেন এঁরা। জাতক সাধারণত কামুক, বিলাসী ও স্ত্রীর প্রতি অনুগত হন।

আসুন জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি সাধারণ প্রতিকার:

১। রোজ পবিত্র চিত্তে হনুমান চালিশা পাঠ করুন।

২। তিন ধাতুর আংটি পরা উপকারী।

৩। হনুমানজিকে মেটে সিঁদুর উৎসর্গ করে সেই সিঁদুরের ফোঁটা রোজ ধারণ করা উচিত।

৪। চারশো গ্রাম চাল ধুয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া উপকার দিতে পারে।

Mangalik Birth Chart
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy