Advertisement
E-Paper

আপনি কি জন্মছকের মাধ্যমে পূর্বজন্ম সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী (প্রথম অংশ)

জ্যোতিষ শাস্ত্রের মূল সুর পুরোপুরি পূর্বজন্মের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। ১২টি রাশি ও ৯টি গ্রহ, এ ছাড়া পাশ্চাত্য মতে ইউরেনাস, প্লুটো, নেপচুন, ব্ল্যাকস্টার লিলিথ-সহ আরও নানা মহাজাগতিক বস্তু আছে, যারা প্রত্যেকেই পূর্ব জন্মের এক একটা দিক নির্দেশ করছে।

অসীম সরকার

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share
Save

পূর্বজন্ম ব্যাপারটা আমাদের অনেকের কাছে কিছুটা হেঁয়ালির মতো শোনায়। কেউ আবার পূর্বজন্ম ব্যাপারটা শুনে নাক সিঁটকায়। অনেকে পূর্বজন্ম আছে, এটা বিশ্বাস করেন না। অনেক ধর্মে পূর্বজন্ম বিশ্বাস করাকে পাপ বলে অভিহিত করা হয়। মজার কথা পাশ্চাত্য দেশগুলি এখন ব্যাপক ভাবে শুধু পূর্বজন্ম নিয়ে বিশ্বাস করছেন তা-ই নয়, এটা নিয়ে রীতিমত আসরে নেমে পড়েছে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নিয়ে গবেষণা চলছে। যিনি জ্যোতিষ বিশ্বাস করেন তাকে পূর্বজন্ম বিশ্বাস করতেই হবে। ভগবানে বিশ্বাস করলে ভূতে বিশ্বাস করার মতোই ব্যাপারটা।

জ্যোতিষ শাস্ত্রের মূল সুর পুরোপুরি পূর্বজন্মের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। ১২টি রাশি ও ৯টি গ্রহ, এ ছাড়া পাশ্চাত্য মতে ইউরেনাস, প্লুটো, নেপচুন, ব্ল্যাকস্টার লিলিথ-সহ আরও নানা মহাজাগতিক বস্তু আছে, যারা প্রত্যেকেই পূর্ব জন্মের এক একটা দিক নির্দেশ করছে।

প্রত্যেকের জন্মকুণ্ডলী পূর্বজন্মের আকর। মোটামুটি ভাবে পূর্বজন্ম সম্বন্ধে ইঙ্গিত পেতে একটা জন্মছকে যেগুলির প্রতি দৃষ্ট দিতে হয় তা হল—

(১) দ্বাদশ ভাব- বলা হয়ে থাকে, দ্বাদশ ভাব পূর্ব জীবনের লগ্ন ভাব। দ্বাদশ ভাব থেকে জানা যায় পূর্ব জীবনে আমরা কতটা সুখে বা দুঃখে ছিলাম, কোন পরিবেশে আমাদের জীবন কেটেছে।

(২) চন্দ্র যে ভাবে অবস্থান করে তার থেকে রাশি বোঝা যায়। পূর্বজন্মে যে কাজ আমরা অসম্পুর্ণ করে রেখেছি তার প্রবাহটা এই জীবনে সমাপ্ত করতে হবে। এর ইঙ্গিত চন্দ্রের অবস্থান দেখে ধরতে হয়।

আরও পড়ুন: কেমন যাবে আপনার কর্মজীবন? জেনে নিন এই ভাবে

(৩) সাউথ নোড বা কেতু- এই ছায়া বিন্দু ভারতীয় জ্যোতিষে বেশ ভয়ের সঙ্গে দেখানো হয়েছে। কিন্তু পাশ্চাত্য জ্যোতিষ এর থেকে এত তথ্য বের করে এনেছে যে, ভাবলে চমকে যেতে হয়। এই কেতু থেকে পূর্বজন্মের মূল সুরটা ধরা হয়। কেতু শুভ বা অশুভ ভাবে বর্তমান জন্মছকে কী ভাবে অবস্থান করছে তার উপর ভিত্তি করে পূর্ব জীবনে আমারা ভাল ভাবে ছিলাম, না গত জীবনে কষ্টে দিনাতিপাত করতে হয়েছে তার হদিস পাওয়া যায়। এই সাউথনোড বা কেতুর ডিগ্রিগত অবস্থান থেকে আরও জানা যায়, আমাদের সূক্ষ্ম শরীরে কোন চক্র কেমন ভাবে আছে, তার কোণটা কতটা খোলা বা বন্ধ বা অকার্যকর অবস্থায় আছে। কেতুর উপর ভিত্তি করে বাকি চক্রগুলির অবস্থান নির্ণয় করা হয়ে থাকে।

(৪) ব্ল্যাক মুন লিলিথ- ব্ল্যাক মুন লিলিথ পাশ্চাত্য জ্যোতিষের একান্ত নিজস্ব আবিষ্কার। এটাও কেতুর মতো চন্দ্র ও পৃথিবীর মাঝে একটা জ্যামিতিক বিন্দু। জন্মছকে এর অবস্থান থেকে জানা যায় মানুষের মনের অবচেতন অংশটা এবং সেক্স ইন্সটিংটার মেকআপ কেমন ভাবে পূর্ব জীবন থেকে গড়েছে। আধুনিক পাশ্চাত্য জ্যোতিষে লিলিথ এসেছে ত্রিশের দশক থেকে।

Past life Rashi Life
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy