কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় পুলিশি হেনস্থার অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে চরম উত্তেজনা। বুধবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানা অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তুমুল বচসা এবং ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছোয় যে, পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের সরাসরি হাতাহাতির উপক্রম হয়। এই ঘটনার পর আইসি-কে সরাতে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন সুকান্ত।
বুধবার বিকেলে নির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুযায়ী কয়েকশো বিজেপি কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সুকান্ত কোতোয়ালি থানা অভিযানে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের প্রথমে তীব্র তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসা এক মহিলা পুলিশকর্মীর সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তীব্র বাদানুবাদ শোনা যায়। ওই পুলিশকর্মী দাবি করেন, পুলিশকর্মীরা ২৪ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করেন এবং বিজেপি কর্মীরা পুরো সত্য না জেনেই কথা বলছেন।
বিজেপি কর্মীরা বারবার আইসি-কে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুললে ওই পুলিশকর্মী পাল্টা বলেন, ‘‘কেন ক্ষমা চাইবেন আইসি? কী অন্যায় করেছেন? পুলিশ ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে ডিউটি করে। আপনারা পুরো সত্য না জেনে কথা বলছেন।’’ জবাবে এক বিজেপি কর্মী পুলিশকর্মীকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘‘একদম এ ভাবে কথা বলবেন না। একেবারে চুপ। এগুলো করতে পারেন না। এত বড় অপরাধ করেছেন। ওপেন গালাগাল করেছেন!’’ এর পরেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছোয় এবং বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।
পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর সুকান্ত তাঁর বক্তব্যে রাজ্য পুলিশ এবং শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান। তিনি পুলিশের কর্মদক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘পুলিশের অফিসার স্বীকার করে নিলেন, পুলিশমন্ত্রী অপদার্থ। এমন অপদার্থ পুলিশ এবং পুলিশমন্ত্রী থাকার চেয়ে না থাকা ভাল।’’ তিনি সরাসরি কোতোয়ালি থানার আইসি-কে আক্রমণ করে হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘কোতোয়ালি থানার আইসি যে ভাবে আমাদের মা-বোনকে... যে ভাবে অসভ্য ভাষা প্রয়োগ করেছেন, যে ভাবে লাঠিচার্জ করেছেন, আমরা ৭২ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি, এই আইসি-কে পরিবর্তন করতে হবে। নইলে আরও তীব্র হবে আমাদের আন্দোলন।’’