প্রতীকী চিত্র।
বুড়ো আঙুলের স্বতন্ত্র গুরুত্ব আছে। বুড়ো আঙুল দেখে কারও ব্যক্তিত্ব বোঝা যায়। বুড়ো আঙুল প্রধানত দুই ধরনের। বুড়ো আঙুলের দু’টি পর্বর মাঝে যে গাঁট আছে, কারও কারও বুড়ো আঙুলের এই গাঁটটি ভিতরে বাইরে দুই দিকেই সমান ভাবে নোয়ানো যায়। নমনীয় বুড়ো আঙুলের ডগায় চাপ দিলে পিছন দিকে ধনুকের মতো বেঁকে যায়। আর এক রকম বুড়ো আঙুল আছে যা এমনই অনমনীয় যে তার ডগায় যতই চাপ দেওয়া যাক তা পিছন দিকে একটুও বেঁকবে না। দু’টি পর্ব যেন এঁটে বসানো।
নমনীয় বুড়ো আঙুল নির্দেশ করে সামাজিক প্রকৃতি। এই ধরনের বুড়ো আঙুল লোককে সামাজিক, ত্যাগ শীল ও সহানুভূতি সম্পন্ন করে তোলে। কিন্তু ব্যক্তিত্বের অভাব থাকে যে কারণে সাংসারিক প্রতিষ্ঠায় বাধা আসতে পারে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র বা অপরিপুষ্ট বুড়ো আঙুল যদি বড় বেশি নমনীয় হয় তা হলে সে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব মোটেই প্রকাশ পায় না। বড়ো বা মোটা বুড়ো আঙুল যদি অতিমাত্রায় নমনীয় হয় তা হলে সে ব্যক্তি কল্পনাপ্রবণ হন। উৎকট কল্পনা দিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকেন। এ রকম ব্যক্তি অত্যন্ত অপব্যয়ী এবং হঠকারী হন।
অনমনীয় বুড়ো আঙুলের মানে ব্যবহারিক বুদ্ধি ও আত্মপ্রত্যয়। অনমনীয় বুড়ো আঙুলবিশিষ্ট মানুষ খুব সাবধানী ও মিতব্যয়ী। এই মিতব্যয়ীতা যে কেবল টাকাকড়ির ব্যাপারেই প্রকাশ পায় তা নয়। কথায় ব্যবহারে, সব বিষয়েই তাঁরা সংযমী। ব্যক্তিগত স্বার্থ তাঁরা খুবই বেশি বোঝেন। এই রকম ব্যক্তি অতি কৃপণ, স্বার্থপর বা একগুঁয়ে হয়ে থাকেন। তার মধ্যে সহানুভূতি খুবই কম থাকে। অনমনীয় বুড়ো আঙুল যদি প্রকাণ্ড এবং মোটা হয় তা হলে সে ব্যক্তি অতিমাত্রায় প্রভুত্ব প্রিয় ও আত্মম্ভরী হয়ে থাকেন। নিজের মতকেই ইনি সবচেয়ে বড়ো বলে মনে করেন। তাঁর হৃদয়হীনতা খুব বেশি হয়ে থাকে। নিজের স্বার্থের জন্য অপরকে আঘাত করতেও পিছপা হন না।
যাঁর বুড়ো আঙুল যত ছোট ও যত অপরিণত, তাঁর ব্যক্তিত্বও তত দুর্বল হয়। বুড়ো আঙুলের ডগার পর্বটি প্রধানত ব্যক্তিত্বের সূচক, কেননা ইচ্ছাশক্তি, অহমিকা প্রভৃতি এই পর্বটি থেকে বিচার করা হয়ে থাকে। কাজেই বুড়ো আঙুল বড়ো ও সুস্পষ্ট হলেও যদি ডগার পর্বটি সুপরিণত না হয় তা হলে সে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব তেমন অভিব্যক্ত হয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy