আমাদের দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বরের ডিজিট সংখ্যা বিভিন্ন। যেমন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অ্যাকাউন্ট ডিজিট সংখ্যা ১১, ব্যাঙ্ক অফ বরোদার অ্যাকাউন্টের ডিজিট সংখ্যা ১৪, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের ডিজিট সংখ্যা ৯, আবার পঞ্জাব ন্যাশন্যাল ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের ডিজিট সংখ্যা ১৬। বিভিন্ন ডিজিটের অ্যাকাউন্ট নম্বরগুলি কারও পক্ষে আর্থিক দিক থেকে শুভ হয়, আবার কারও পক্ষে বেশ অশুভ ফল দেয়। এমন অনেক ব্যাঙ্ক আছে যারা গ্রাহকদের পছন্দমতো লাকি নম্বর সরবরাহ করে থাকে।
কী ভাবে জানব কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর লাকি বা আনলাকি?
লাকি বা আনলাকি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর জানতে হলে একটা অ্যাকাউন্টের সব ডিজিটকে যোগ করতে হবে। আর যোগফলটাই বলে দেবে অ্যাকাউন্টের নম্বরটি গ্রাহকের পক্ষে শুভ না অশুভ।
আরও পড়ুন: আপনি আশাহত? এই টোটকা মেনে চলুন, উপকার পাবেন
কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ধরা যাক 76390251852
অ্যাকাউন্টের ডিজিটগুলি যোগ করলে= 7+6+3+9+0+2+5+1+8+5+2=48=4+8=12=3
এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিজিট সংখ্যার যোগফল হল তিন। এই তিন সংখ্যার তাৎপর্য জেনে গেল আমরা জানতে পারব যে ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট তার পক্ষে নম্বরটা শুভ হবে না অশুভ। বিভিন্ন ডিজিটগুলির যোগফলের তাৎপর্য নীচে আলোচনা করা হল।
যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাঊন্ট নম্বরের ডিজিট সংখ্যার যোগফল এক: নিউমেরোলজিতে এক সংখ্যাকে প্রবল ভাবে মানি ম্যাগনেট নম্বর বলা হয়। যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিজিটগুলি যোগ করলে ১ আসে, তা হলে তা নিশ্চিত ভাবে শুভ সংখ্যা। এই অ্যাকাউন্ট নম্বর যে দিন থেকে পেয়েছেন, সে দিন থেকে আপনার নানা দিক থেকে অর্থ আসতে শুরু করেছে। এক সংখ্যা বোঝায় নতুন নতুন উত্স থেকে অর্থ আসার কথা। নিরন্তর অর্থ আসার পক্ষে এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বিশেষ নির্দেশক। তবে অর্থটা আসতেই থাকে কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণটা খুব বিশাল হয় না।
যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের ডিজিট সংখ্যার যোগফল দুই: দুই সংখ্যা মোটেই শুভ সংখ্যা নয়। যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের সংখ্যাগুলি যোগ করে দুই পেয়েছেন, তাদের জানাচ্ছি আপনার পক্ষে এই অ্যাকাউন্ট নম্বর কখনও শুভফল দেবে না। এই সংখ্যা মানি ক্যাচার নয়। তাই ব্যাঙ্কে গিয়ে নম্বর পাল্টে নিতে পারেন। এই সংখ্যা বোঝায় ভাগ্য বিড়ম্বনা। যে দিন থেকে এই অ্যাকাউন্ট নম্বর পেয়েছেন, সে দিন থেকে আপনার অর্থ ভাগ্য বিরূপ হয়ে আছে। এটা হতাশাজনক আর্থিক নম্বর। খুব ওঠা নামা জড়িয়ে থাকে অর্থ আসার ক্ষেত্রে। অনেক দেরি করে আপনার আশা পূরণ হবে। আপনার অ্যাকাউন্টে কোনও দিন সে ভাবে অর্থ জমবে না। এই সংখ্যায় যেমন তাড়াতাড়ি অর্থ আসে, তেমনই তাড়াতাড়ি অর্থ আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে বেরিয়ে যাবে। এই অ্যাকাউন্টের মালিক অনেক ক্ষেত্রে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে।
যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের ডিজিট সংখ্যার যোগফল তিন: এরা খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারে। মিলিয়ে দেখতে পারেন, যে দিন থেকে এই অ্যাকাউন্ট নম্বর পেলেন, সে দিন থেকে খুব সহজেই অর্থ এসে চলেছে। এদের সমস্যা, এরা সহজে অর্থ পায় বলে অর্থ আয়ের জন্য যতটা সময় ও শক্তি ব্যয় করা উচিত তারা তা করে না। ফলে যতটা অর্থ জমা উচিত ততটা অর্থ এদের জমে না। এদের প্রচুর খরওচ করতে হয়। এদের যেমন তাড়াতাড়ি অর্থ আসে, ঠিক তেমন তাড়াতাড়ি অর্থ বেরিয়েও যায় কারণ ভয়ঙ্কর খরচের হাত। যদি এরা অর্থ আয় করব বলে অর্থের প্রতি চেতনাকে ফোকাস করে তবে প্রচুর অর্থ এরা রোজগার করতে পারে। বহু অর্থশালী আছেন যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের ডিজিটের যোগফল তিন।
যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের ডিজিটগুলির যোগফল চার: এই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের পক্ষে কোনও দিনই সহজ ভাবে আয় করা সম্ভব নয়। তার আয় হয় একটা নির্দিষ্ট ছক ধরে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এদের আয় হয় কায়িক বা মানসিক পরিশ্রম করে। এদের পক্ষে আকস্মিক ভাবে আয় করা বা লাভ করা খুব কঠিন। এদের পক্ষে পুরনো বিনিয়োগ নানা ভাবে কাজে লাগিয়ে আয় বেশি হয়। স্পেকুলেটিভ আয় খুব একটা হয় না। যখনই এই চার সংখ্যার অ্যাকাউন্ট নম্বরের গ্রাহক পেলেন, এতে বোঝা গেল তার আয়ের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। তার রোজগার হয় একটা সুনির্দিষ্ট পথ ধরে। চার সংখ্যা মানি ক্যাচার নয়। এই গ্রাহককে পয়সা খরচ করতে গেলে সর্বদাই ভাবতে হবে তার আয়ের উৎস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy