মন্ত্রপাঠের গুণাগুণ অনেক। রোজকার রুটিনে একটা সময় বার করে যদি আপনার ইচ্ছামতো যে কোনও একটি মন্ত্র মন দিয়ে, একাগ্রতার সঙ্গে পাঠ করা যায় তবে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই সকালে উঠে ধ্যান করি। সেই ধ্যান করার সময় যদি মন্ত্রপাঠ করা যায় তবে ধ্যান খুব ভাল হয়। মন্ত্রপাঠের ফলে আমাদের আধ্যাত্মিক জ্ঞান যেমন বাড়ে, তেমনই শারীরিক দিক থেকেও নানা ভাল ফল পাওয়া যায়। জেনে নিন এই কাজের উপকারিতা।
আরও পড়ুন:
মন্ত্রপাঠের গুণাগুণ:
উদ্বেগ কমে: আমরা অনেকেই উদ্বেগে ভুগি। মানসিক চাপের ফলে অনেক সময় প্রায় সফল হয়ে আসা কাজও আমরা ভেস্তে ফেলি। আখেরে ক্ষতি আমাদেরই হয়। প্রতি দিন সকালে উঠে পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও যদি একমনে মন্ত্রপাঠ করা যায় তা হলে চাপ কিছুটা হলেও কমবে। উদ্বেগ অনেকটাই নিজের বশে আনতে পারবেন।
মনোযোগ বৃদ্ধি পায়: মন্ত্রপাঠ করার ফলে আমাদের মন দিয়ে কাজ করার ক্ষমতা অনেকটা বৃদ্ধি পায়। চঞ্চলতা কমে। আমরা ধীরস্থির হয়ে উঠি।
আরও পড়ুন:
পজ়িটিভ চিন্তাধারার উন্মোচন: বহু মানুষই কোনও কারণ ছাড়া নেগেটিভ মনোভাব পোষণ করে চলেন। কোনও কাজ ভাল ভাবে চললেও তাতে খুঁত বার করা যেন তাঁদের স্বভাব। এটি করা মোটেও ভাল নয়। অনেক সময় এই প্রকার চিন্তাধারার জন্য হওয়া কাজ ভেস্তে যায়। মন্ত্রপাঠের গুণে নেগেটিভ চিন্তাধারা দূর হয়, পজ়িটিভ ভাবনা আসে।
আধ্যাত্মিক সংযোগ বৃদ্ধি পায়: মন্ত্রপাঠের ফলে আমাদের আধ্যাত্মিক জ্ঞানবৃদ্ধি ঘটে, যার ফলে আমাদের জীবনদর্শন বদলায়। দার্শনিক চিন্তাভাবনার উদ্রেক হয়। নিজেকে ভাল করে চেনা যায়। অনেকেই একটা বয়সের পর নিজেকে নিয়ে নানা দ্বন্দ্বে ভোগেন। নিজেদের ঠিক করে চিনতে পারেন না। মনে মনে নিজেকে নিয়েই নানা সংশয়ে ভোগেন। সেই সকল খারাপ ভাবনা কাটাতে সাহায্য করে মন্ত্রপাঠ। নিজেকে ঠিক করে চিনতে সাহায্য করে।
মাথা ও শরীরের বন্ধন: মন্ত্রপাঠের দ্বারা মাথার সঙ্গে শরীর ও মনের যোগ স্থাপন সৃষ্টি হয়। এর ফলে মন প্রশান্ত হয়। সকল কাজ ভেবেচিন্তে, মন দিয়ে করা সম্ভব হয়।