Advertisement
E-Paper

ভাইফোঁটায় ভাইয়ের কপালে চন্দন ও দইয়ের ফোঁটা কেন দেওয়া হয়?

কপালে চন্দনের তিলক দিলে মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে, ধৈর্য শক্তি বৃদ্ধি পায়, মন শান্ত থাকে এবং একাগ্রতা বাড়ে।

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০

‘ভাই-এর কপালে দিলাম ফোঁটা, যম দুয়ারে পড়ল কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা’ - ভাই এর প্রতি বোনের এই ভালবাসা ধরা দেয় ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানে। পারিবারিক এই অনুষ্ঠানটি সকল ভাইয়ের প্রতি বোনের যে মমতা তুলে ধরে তা অনন্য। ভাইফোঁটা তাই সকল ভাইয়ের, সকল বোনের অনুষ্ঠান। পারিবারিক নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে এই আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত ভাইরা বোনেদেরকাছে এসে চন্দন চর্চিত ফোঁটা নেয়। বোন ছোট হলে দাদা আর্শীবাদ করে থাকে। সেই সঙ্গে দাদার পক্ষ থেকেবোনদের জন্য স্পেশাল কোনও গিফট তো থাকেই। বোন বড় হলে আদরের ভাইকে ফোঁটার সঙ্গে উপহারওদেওয়া হয়। ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের কোনও ধর্মীয় মন্ত্র নেই। সাধারণত প্রদীপ জ্বালিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে মাঙ্গলিকপরিবেশে অনুষ্ঠানটি হয়ে থাকে। সবশেষে ভাইকে মিষ্টি খাইয়ে, প্রণাম ও আর্শীবাদ দেওয়া নেওয়ার মধ্যে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ভাইফোঁটায় চন্দন ও দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয় কেন?

কপালে চন্দনের তিলক দিলে মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে, ধৈর্য শক্তি বৃদ্ধি পায়, মন শান্ত থাকে এবং একাগ্রতা বাড়ে— হাজার হাজার বছর আগে আমাদের মুনি ঋষিরা চন্দনের এই গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তারা কপালে চন্দনের তিলক দেওয়ার বিধি প্রবর্তন করেন। চন্দনের এই গুণের জন্য ঈশ্বরের প্রতি সর্বদা মন নিবিষ্ট রাখতে পারা যায়। এ কারণেই যে কোনও মন্দির বা কোথাও হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলে, উপস্থিত ভক্তদের কপালে চন্দনের তিলক দিয়ে দেওয়া হয়।

চন্দনের মতো এই একই গুণ রয়েছে দইয়েরও। এই কারণেই ভাইফোঁটায় দই ও চন্দনের ফোঁটা জেওয়া হয়।

Sandal Bhai Phota Curd drop Rashi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy