জ্যোতিষশাস্ত্রের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল গ্রহরত্ন। এই সম্বন্ধে অনেকের অনেক রকম মত রয়েছে, তবে কোনও মতই এর উপকারিতাকে অগ্রাহ্য করতে পারে না। সব রত্ন সকলের ভাগ্যে সহ্য হয় না, কিন্তু যার ভাগ্যে এক বার সয়ে যায়, সে জানে এর কার্যকরিতা ঠিক কতটা। গ্রহের অশুভ প্রভাব কাটাতে গ্রহরত্নের জুড়ি মেলা ভার। সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহের সঙ্গেই কোনও না কোনও রত্নের সাদৃশ্য রয়েছে। সেই অনুযায়ী, সঠিক নিয়ম মেনে রত্ন ধারণ করলে খুব ভাল ফলপ্রাপ্তি হয়। শাস্ত্রে উপযোগী যে সমস্ত গ্রহরত্নের কথা বলা হয়, ক্যাটস আই তাদের মধ্যে অন্যতম। এটি কেতুর অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আরও নানা মুশকিল আসান করার শক্তি এর মধ্যে রয়েছে। যদিও সঠিক নিয়ম মেনে না পরলে ভালর বদলে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। জেনে নিন এর উপকারিতা ও ধারণের নিয়ম।
আরও পড়ুন:
ক্যাটস আই পরার নিয়ম:
- ক্যাটস আই সর্বদা রুপো দিয়ে পরতে হবে। রুপোর আংটি বা লকেটে রত্নটিকে বাঁধিয়ে পরা যেতে পারে। আংটিতে পরাটাই বেশি ভাল হবে, তবে লকেট হিসাবে পরলেও ক্ষতি নেই। তবে রুপো ছাড়া অনেকে সোনা দিয়েও পরে থাকেন। এ বিষয়ে জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
- ক্যাটস আই মধ্যমায় পরতে হবে। অন্য কোনও আঙুলে পরা যাবে না।
- বৃহস্পতিবার বা শনিবার স্নান সেরে শুদ্ধ বসন পরে পুজো করে এই রত্ন প্রথমে শুদ্ধ করতে হবে। তার পর পরতে হবে।
আরও পড়ুন:
ক্যাটস আই পরার উপকারিতা:
১. কেতুর পাথর ক্যাটস আই রাহু ও কেতুর অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই রত্ন ধারণে আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শত্রুদেরও আমাদের থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে ক্যাটস আই। তাঁদের কুনজর আমাদের উপর পরতে দেয় না এই রত্ন।
২. জন্মছকে রাহু-কেতু দুর্বল থাকলে বা নেগেটিভ প্রভাব দান করলে, তাদের সঠিক রাস্তায় আনতে সাহায্য করে ক্যাটস আই। এর প্রভাবে দুই অশুভ গ্রহের ক্ষতিকারক প্রভাব হ্রাসপ্রাপ্ত হয়, বদলে শুভ ফলদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন:
৩. ক্যাটস আই আমাদের মনকে শান্ত রাখতেও সাহায্য করে। আমাদের আধ্যাত্মিক চেতনা বৃদ্ধি পায়। ফলত মনে সর্বদা স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
৪. সফলতার পথে আসা সমস্ত বাধাকে দূর করতে সাহায্য করে ক্যাটস আই। পেশাক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া যায়। উন্নতির পথ প্রশস্ত হয়। ব্যবসার ক্ষেত্রেও লাভের মুখ দেখা যায়।
৫. সম্পর্কক্ষেত্রেও সুফল দান করে ক্যাটস আই। ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। সঙ্গীর সঙ্গে নিত্য ঝামেলা কমে গিয়ে প্রেম বৃদ্ধি পায়।
যে কোনও রত্ন ধারণের পূর্বে জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক। কোষ্ঠী বিচারে ফলের পরিবর্তন ঘটতে পারে।