ভাল কর্মচারী মানেই যে ভাল ম্যানেজার বা বস্, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। নিষ্ঠাভরে, একাগ্রতার সঙ্গে কাজ অনেকেই করতে পারেন। কিন্তু অনেককে নিয়ে একটা দল গঠন করে, সেই দলের সকলের সঙ্গে ভাল ব্যবহার বজায় রাখা, তাঁদের দিয়ে একসঙ্গে কোনও কাজ করিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা সকলের থাকে না। খেলার মাঠে হোক বা অফিসের চার দেওয়ালের মাঝে, ‘ক্যাপ্টেন’ কিন্তু এক জনই হন। শাস্ত্র বলছে, রাশিচক্রের চার রাশির মধ্যে জন্ম থেকেই নেতৃত্বদানের ক্ষমতা থাকে। এঁদের মধ্যে দলকে চালনা করার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। এঁরা দলে থেকে যত ভাল না কাজ করে, দলের মাথা হয়ে তার দ্বিগুণ ভাল ফল দেয়।
আরও পড়ুন:
কোন রাশির ব্যক্তিরা নেতৃত্বদানের ক্ষমতা নিয়ে জন্মান?
মেষ: রাশিচক্রের প্রথম রাশি মেষের মধ্যে টাকা আয়ের অশেষ ক্ষমতা রয়েছে। এঁরা যে দিকেই যান, সে দিকেই লাভের অঙ্কে ফুলেফেঁপে ওঠেন। ব্যবসা হোক বা চাকরি, কী ভাবে লাভের গুড়কে নিজেদের ঘরে আনতে হয় সেটির কায়দা মেষ খুব ভাল করে জানেন। এঁরা ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারেন। পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক, এঁরা হাল ছাড়েন না। নেতৃত্বদানের ব্যাপারে এঁরা সর্বদা এগিয়ে থাকেন।
কর্কট: দলের মধ্যে এক জন হয়ে না, দলের মাথা হয়ে বেশি ভাল কাজ করেন কর্কট রাশির ব্যক্তিরা। এঁরা সফলতার স্বাদ না পেয়ে থামেন না। কর্কট রাশির ব্যক্তিরা খুব ভাল পরিকল্পনা করতে পারেন। যে কোনও কাজ হাতে পেলে এঁরা আগে পরিকল্পনা করতে বসেন, তার পর সেই পরিকল্পনামাফিক কাজ করেন। সাফল্য না পাওয়া পর্যন্ত এই রাশির ব্যক্তিরা থামেন না। দলকে নিয়ে ভাল করে কাজ করা এঁদের স্বভাবের মধ্যেই পড়ে।
সিংহ: সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা নেতৃত্বদানের ক্ষমতা নিয়েই জন্মান। এঁরা চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পান না। এঁদের মধ্যে কখনও আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা যায় না। পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন, এঁরা সেটির শান্ত মাথায় মোকাবিলা করতে পারেন। সিংহ রাশির ব্যক্তিরা আশপাশের মানুষদের নিয়মানুবর্তিতায় বেঁধে রাখলেও, প্রয়োজনে বাঁধন হালকা করতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। নেতৃত্বদানের ব্যাপারে এঁরা বাকি সকলকে ছাপিয়ে যান।
বৃশ্চিক: পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক, বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা কখনও মাথা গরম করেন না। এঁরা সকলের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে ভালবাসেন। সর্বদা সকলের মতামত নিয়ে তার পর বৃশ্চিক রাশির ব্যক্তিরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হন। লক্ষ্য স্থির রেখে এগোন, কখনও লক্ষ্যভ্রষ্ট হন না। দায়সারা কাজ করা এই রাশির স্বভাবে নেই। যে কাজের দায়িত্ব নেন, সেটা পুরোপুরি না করা পর্যন্ত এঁরা থামেন না।