সব মানুষ একই বয়সে সফলতা পান না। কেউ স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরোতে না পেরোতেই ভাল চাকরি পেয়ে যান। অনেকে আবার প্রচুর পরিশ্রমের পরেও সফলতার স্বাদ পান না। রাতের পর রাত জেগে পড়াশোনা করার পরও চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন না। এর প্রভাব তাঁদের মনের উপরও পড়ে। কিন্তু শাস্ত্র বলছে, এতে ভেঙে পড়ার কোনও কারণ নেই। বরং ধৈর্য ধরে, ভাগ্যের উপর বিশ্বাস রেখে চেষ্টা চালিয়ে গেলেই ভাল ফল মিলবে। কারণ, রাশিচক্রের চারটি রাশি রয়েছে যাঁরা কম বয়সে সফলতা পান না। উপরন্তু বয়স একটু বাড়লে তাঁদের ভাগ্য খুলে যায়। জেনে নিন সেই তালিকায় কারা রয়েছেন।
কোন রাশির ব্যক্তিরা বেশি বয়সে সাফল্য লাভ করেন?
তুলা: তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের ছোট থেকেই প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। যে কোনও ক্ষেত্রে তাঁরা অন্যদের তুলনায় বেশি পরিশ্রম করার পর ফল পান। পড়াশোনা শেষ করার পরও চাকরি পাওয়ার জন্য তাঁদের নানা কাঠখড় পোড়াতে হয়। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয় না। তবে বয়স তিরিশের কোঠা পেরোলে এঁদের আর কোনও চিন্তা থাকে না। সফলতা নিজে হেঁটে এঁদের কাছে আসে।
বৃশ্চিক: রাশিচক্রের অষ্টম রাশি বৃশ্চিকের জীবনে পরিশ্রমের অন্ত থাকে না। কম বয়সেই চাকরি পেয়ে গেলেও, সেই চাকরি মনের মতো হয় না। পর্যাপ্ত পরিশ্রমের উপযুক্ত ফলও এই রাশির ব্যক্তিরা কম বয়সে সাধারণত পান না। নানা সংঘর্ষ, ঘাত-প্রতিঘাত পেরোনোর পর এঁরা সফলতার সুখ অর্জন করেন। শাস্ত্রমতে, এই রাশির ব্যক্তিরা পঞ্চাশের পর সাফল্য অর্জন করেন। এঁদের অবসরপ্রাপ্ত জীবন অত্যন্ত সুখে কাটে।
মকর: কঠোর পরিশ্রমের পরও মকর রাশির জাতক-জাতিকারা কম বয়সে সফলতা লাভ করেন না। কিন্তু হার না মেনে এঁরা যদি লড়ে চলেন, তা হলে একটা বয়সের পরে জীবন এঁদের দিকে মুখ তুলে চায়। জীবনে আসে সুখের জোয়ার। ভাগ্য বদলে যায় এক লহমায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এঁদের ভাগ্যোন্নতি হয়। অর্থকষ্ট দূর হয়। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কও মধুর হতে শুরু করে।
কুম্ভ: কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারাও পঞ্চাশের গোড়ায় দাঁড়িয়ে সফলতার স্বাদ চেখে দেখার সুযোগ পান। এই রাশির ব্যক্তিদের জীবনে চলার পথে নানা বাধা পেরোতে হয়। যে কোনও কাজে এঁদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু ধৈর্য ও ভগবানের উপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে চললে একটা বয়সের পর এঁদের আর কেউ থামাতে পারেন না। বেশি বয়সে গিয়ে এঁরা রাজসুখের অধিকারী হন।