মঙ্গলের রত্ন লাল প্রবাল। প্রতীকী ছবি।
মঙ্গল বীর গ্রহ, কারও কাছে পরাজয় স্বীকার করে না। মঙ্গল তেজ, দীপ্ত, জ্যোতি দাতা গ্রহ। শাস্ত্রমতে মঙ্গল সেনাপতি, যুদ্ধে জয় লাভই মঙ্গলের পরম ব্রত, এই কারণেই মঙ্গলের শুভ অবস্থান কালে প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। মঙ্গল ভূমির কারক, স্থাবর সম্পত্তি, রাসায়নিক, চিকিৎসাবিদ্যা বিশেষত শল্য চিকিৎসা, ঔষধ, পুলিশ, সেনা, যুদ্ধবিদ্যা, রাজনীতি ইত্যাদির উপর প্রভাব দান করে। মঙ্গল পৃথিবীর খুব কাছের গ্রহ, এ কারণে পৃথিবীর উপর মঙ্গলের প্রভাব মারাত্মক। মঙ্গল এক এক রাশিতে কম-বেশি ৪৫ দিন অবস্থান করে। অল্প সময়ে অবস্থান করলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবস্থান কালে শুভ বা অশুভ ফল দান করে। অশুভ মঙ্গল যেমন অশুভ ফল দান করে, তেমন মঙ্গলের শুভ প্রভাবে জীবন শুভত্বে ভরিয়ে দিতে পারে। মানবদেহের মস্তিস্ক, জননেন্দ্রিয়, পেশি, রক্ত, অস্থিমজ্জা, পিত্ত ইত্যাদির উপর মঙ্গলের প্রভাব।
মঙ্গলের রত্ন লাল প্রবাল।
জন্মকুণ্ডলীতে লগ্নে, চতুর্থে, ষষ্ঠে, সপ্তমে, অষ্টমে এবং দ্বাদশে মঙ্গল অবস্থান করলে প্রবাল ব্যবহার না করাই উচিত।
লাল প্রবালের সহিত মুক্তো এবং গোমেদ ধারণ করলে অনুঘটকের কাজ করে।
লাল প্রবালের সহিত চুনি এবং পীত পোখরাজ (হলুদ পোখরাজ) ধারণ করা যেতে পারে (প্রয়োজনে)।
লাল প্রবালের সহিত নীলা (নীল), পান্না এবং হিরে কখনওই ধারণ করা উচিত না।
কখন এবং কী ভাবে প্রবাল ধারণ করা উচিত?
লাল প্রবাল সোনায় বাঁধিয়ে ধারণ করা উচিত। মঙ্গলবার সকালে শোধন করে অনামিকায় ধারণ করা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy