রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ সম্বন্ধে আমাদের প্রায় সকলেরই জানা রয়েছে। ভগবান শিবের অত্যন্ত প্রিয় জিনিস এটি। রুদ্রাক্ষ ধারণে ভাগ্যের উন্নতি হয়। শিবের কৃপায় দুঃসময় জীবন থেকে বিদায় নেয়। শুরু হয় সুসময়। বাজারে নানামুখী রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়। তবে সব রুদ্রাক্ষ সকলের জন্য শুভ নয়। তাই রুদ্রাক্ষ ধারণের আগে কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিয়ে নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
পুরাণমতে, মহাদেবের অশ্রু থেকে রুদ্রাক্ষের উৎপত্তি হয়েছিল। আদতে রুদ্রাক্ষ একটি গাছের ফল। যদিও শিবের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় এটিকে সাধারণ ফল বলা চলে না। শায়িত ভাগ্য জাগ্রত করার ব্যাপারে এই ফল কার্যকরী। তবে আপনার ভাগ্যে কোন রুদ্রাক্ষ সইবে সেটা যেমন দেখা প্রয়োজনীয়, তেমনই রুদ্রাক্ষটি ধারণের উপযোগী কি না সেটাও পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি। যে কোনও মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের পূর্বেই কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
আরও পড়ুন:
রুদ্রাক্ষ ধারণের পূর্বে কী কী দেখে নেবেন?
- ছোট, মাঝারি, বড় প্রভৃতি নানা আকৃতির রুদ্রাক্ষ বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। শিব মহাপুরাণ অনুসারে, আমলকির আকৃতির রুদ্রাক্ষ পরা সব থেকে শুভ। এই আকৃতির রুদ্রাক্ষ ধারণে সকল ইচ্ছা পূরণ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
- একদম ছোট আকৃতির, এক গ্রাম কি তারও কম ওজনের রুদ্রাক্ষ কখনও ধারণ করতে নেই। এতে কোনও লাভ হয় না। এই রুদ্রাক্ষ পরা থেকে বিরত থাকা উচিত।
আরও পড়ুন:
- আকৃতি ছাড়াও রুদ্রাক্ষটির বাহ্যিক অবস্থা কেমন সেটিও দেখে নেওয়া জরুরি। রুদ্রাক্ষটির গায়ে যেন কোনও দাগ বা ক্ষত না থাকে সেটি দেখে নিতে হবে। পোকায় খেয়ে নেওয়া রুদ্রাক্ষ পরা যাবে না। সেটিকে জলে ভাসিয়ে দিতে হবে।
- রুদ্রাক্ষটি যেন পলকা না হয়। সে রকম হলে বুঝতে হবে সেটি আসল নয়, নকল। রুদ্রাক্ষ কেনার সময় সেটি শক্ত কি না তা-ও দেখে নেওয়া জরুরি।