পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া। পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে শুরু হবে দেবীপক্ষ। ষষ্ঠী থেকে দশমী মা দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠবেন হিন্দু বাঙালিরা। ভক্তি ও নানা উপচারে দেবীকে তুষ্ট করলে আশীর্বাদস্বরূপ সাফল্য, সুখ, শান্তি নেমে আসে জীবনে। দুর্গতি নাশ অর্থাৎ সঙ্কট মোচন করেন, তাই তিনি দুর্গা। মায়ের আগমনে হয় দুর্গতি নাশ। মা আনেন সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধি। স্তোত্রপাঠ, মন্ত্র জপ, ফুল-ফল ও অন্যান্য সামগ্রী নিবেদন করার পাশাপাশি দেবী দুর্গার কয়েকটি মন্ত্র রয়েছে। যেগুলি জানা থাকলে এবং সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে পাঠ করলে দূর হয় সকল বাধা।
আরও পড়ুন:
দুর্গা সপ্তশতী পাঠ
যদি জীবন নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ওঠে তার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দেবীকে এই পাঠের মাধ্যমে তুষ্ট করতে পারেন ভক্তেরা। সম্পত্তি নিয়ে অশান্তি, পরিবারে বিবাদ, সন্তান নিয়ে দুশ্চিন্তা বা কর্মক্ষেত্রে বাধা দূর হয়ে যাবে এই মন্ত্র পাঠে। শুদ্ধ চিত্তে মা দুর্গার এই মন্ত্রপাঠ করলে জীবনের সমস্ত বাধা দূর হবে এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছোনো সম্ভব হবে। এই মন্ত্র পাঠ করে বিক্ষিপ্ত মন শান্ত হয়ে ওঠে, একাগ্রতা বাড়ে ও ভাগ্যের বন্ধ দরজা খুলে যায়।
মা দুর্গার চল্লিশা পাঠ
দেবীর শুভশক্তিকে নিজের বাড়িতে চিরকালের জন্য ধরে রাখতে পুজোর চার দিন এই মন্ত্র পাঠ করতে হবে। দেবী দুর্গার এই মন্ত্রটিও খুব শক্তিশালী বলে দাবি করেন শাস্ত্রজ্ঞেরা। মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে এই চল্লিশা পাঠ করলে সংসার জীবনের টানাপড়েনের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। এই পাঠটি বিভিন্ন সমস্যায় সাহায্য করবে এবং নির্মূল হবে সব সমস্যা।
আরও পড়ুন:
দেবী দুর্গাকে পানপাতা উৎসর্গ
পানপাতা দিয়ে আচার-অনুষ্ঠান করলে দেবী দুর্গা খুশি হন। আর্থিক সঙ্কটের মতো সমস্যাগুলি দূর হয়। আশীর্বাদ প্রার্থনা করার সময় যে কোনও পুজোয় পানপাতা ব্যবহার করা একটি প্রচলিত রীতি। আর্থিক অসুবিধা দূর করার জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিকার হিসাবে কাজ করতে পারে পানপাতা। মা দুর্গাকে প্রতি দিন একটি করে পান নিবেদন করলে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন।