১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে কার্তিক মাস। চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। হিন্দু ধর্মে এই মাসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই মাসের অমাবস্যা দীপান্বিতা অমাবস্যা নামে পরিচিত। এই অমাবস্যায় মা কালীকে পুজো করার সঙ্গে সঙ্গে অনেক বাড়িতে দেবী লক্ষ্মীরও পুজো করা হয়। এরই সঙ্গে অলক্ষ্মীকে বাড়ি থেকে বিদায় জানানো হয়। শাস্ত্রে কার্তিক মাস সম্বন্ধে নানা নিয়মের কথা বলা রয়েছে। এরই সঙ্গে বিশেষ কিছু খাদ্যদ্রব্যের উপরও নানা বিধিনিষেধের কথা বলা রয়েছে। কিছু জিনিস রয়েছে যা এই মাসে দাঁতে কাটা উচিত নয়। তেমনই কয়েকটি জিনিস এই মাসে খাওয়া শুভ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন:
কার্তিক মাসে কোন কোন জিনিস খাওয়া উচিত নয়?
- কার্তিক মাসে বেগুন খাওয়া উচিত নয়। শাস্ত্রমতে, এই মাসে বেগুন খাওয়া অশুভ। এতে শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এই মাসটি বেগুন না খাওয়াই উচিত হবে বলে মনে করছেন জ্যোতিষীরা।
- কার্তিক মাসে দই খেতেও মান করছেন জ্যোতিষীরা। বদলে দুধ খাওয়া যেতে পারে। এই সময় দই খেলে সর্দিকাশির মতন শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হতে পারে বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন:
- কথিত রয়েছে, এই কার্তিক মাসে ভগবান বিষ্ণু মাছ রূপে জলাধারে আগমন করেন। তাই এই মাসের বিশেষ দিনগুলি, যেমন একাদশী, পূর্ণিমা, অমাবস্যা প্রভৃতিতে মাছ বা আমিষ কোনও খাবার গ্রহণ না করাই উচিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
- কার্তিক মাসে করলা খাওয়াও শুভ নয়। তেতো এই সব্জিটি এই মাসে না খাওয়াই ভাল হবে। অন্যান্য তেতো খাবারের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
কার্তিক মাসে কী কী খাওয়া শুভ?
- উপরিউক্ত তালিকায় না থাকা সব খাবারই কার্তিক মাসে খাওয়া যেতে পারে। তবে বিশেষ কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলি এই মাসে খাওয়া অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
- কার্তিক মাসে মুলো খাওয়া যেতে পারে। এতে শারীরিক নানা সমস্যার হাত থেকে রেহাই মিলবে বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন:
- কার্তিক মাসে আমলা নবমী পালিত হয়। তাতে আমলকি ও কার্তিক গাছের একসঙ্গে পুজো করা হয়। এই মাসে তাই সকলেরই এক দিন হলেও আমলকি খাওয়া উচিত। এতে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করবেন।
- এই মাসে সাদা বা কালো, যে কোনও তিল দেওয়া খাবার খান। এরই সঙ্গে বিষ্ণুর উদ্দেশ্যেও তিল উৎসর্গ করুন। ভাগ্যের হাল বদলাবে। দারুণ ফল পাবেন। শ্রীবিষ্ণুর আশীর্বাদ সর্বদা আপনার সঙ্গেই থাকবে।