প্রতি দিন সকালে উঠে সূর্যপ্রণাম করার নানা গুণ রয়েছে। সকালবেলা স্নান করার পর সূর্যপ্রণাম করার মাধ্যমে দিনটি শুরু করলে সারা দিন মেজাজ ভাল থাকে বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, সূর্যদেবের কৃপাও সর্ব ক্ষণ আমাদের সঙ্গেই থাকে। সূর্যকে ছাড়া আমাদের জীবন তথা পুরো পৃথিবী অচল। হিন্দু ধর্মে তাই সূর্যকে উপাসনা করার নানা দিক ও গুণের কথা বলা রয়েছে। কিন্তু সৌরজগতের এত গ্রহের মধ্যে কেবল সূর্যকে প্রণাম করার রীতিই কেন রয়েছে? সেই ব্যাপারে কখনও ভেবে দেখেছেন?
সূর্যপ্রণাম কেন করা হয়?
সূর্য ছাড়া আমরা সকলেই অচল। কাল সূর্য যদি না থাকে তা হলে পৃথিবার একটা প্রাণও জীবিত থাকবে না। রবিদেব আমাদের আলো ও শক্তি দিয়ে ভরিয়ে রাখেন। তার কল্যাণে আমরা দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পারি। তাই তার এই দানের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা বোঝাতে প্রতি দিন সকালবেলা সূর্যপ্রণাম করা হয়। সূর্যপ্রণাম করার দ্বারা আমাদের শরীর ও মন শান্ত এবং পরিষ্কার হয়। একই সঙ্গে আমাদের আধ্যাত্মিক চিন্তাধারাও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়।
সূর্যপ্রণাম করার উপকারিতাগুলি কী কী?
১. ভোরবেলা সূর্যের আলো অন্যান্য সময়ের তুলনায় পরিশুদ্ধ হয়। সেই আলোর তলায় দাঁড়িয়ে সূর্যপ্রণাম করলে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা বজায় থাকে।
২. আমাদের নিজের প্রতি বিশ্বাস ও মনোবল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে সূর্যপ্রণাম।
৩. লক্ষ্যের প্রতি স্থির হতেও সাহায্য করে। সারা দিন সেই অনুযায়ী কাজ করা যায়, মনঃসংযোগ প্রায় ব্যাহত হয় না বললেই চলে।
৪. আমাদের মানসিক দিক দিয়ে শক্ত-সামর্থ্য করে তুলতে সাহায্য করে সূর্যপ্রণাম। অবসাদের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়, বদলে মনে আসে একাগ্রতা ও শান্তি।
৫. নিয়মিত সূর্যপ্রণাম করার দ্বারা আমাদের সময়জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। জীবনকে নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে নিয়ে আসতে সফল হই আমরা।
সূর্যপ্রণাম করার সময় কোন কোন মন্ত্র পাঠ করতে হবে?
‘‘ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম।
ধান্তারীং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্।।’’
সূর্যপ্রণাম করার সময় নির্দিষ্ট এই মন্ত্র পাঠ করতে হবে।