বাজারে এখন ‘নীল চোখ’-এর চাহিদা রমরমা। নীল রঙের চ্যাপটা আকৃতির চোখের মতো দেখতে একটি বস্তু, যার নাম ‘ইভিল আই’। গলার লকেট থেকে হাতের ব্রেসলেট, এমনকি ঘর সাজানোর সরঞ্জাম হিসাবেও এখন এটি ব্যবহার করা হয়। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, সকলেরই মন মজেছে ইভিল আই-এর সৌন্দর্যে। কিন্তু নীল রঙের চোখের মতো দেখতে এই বস্তুর জনপ্রিয়তার নেপথ্যে কী কারণ? এটি সত্যিই কুনজর থেকে বাঁচায়, না কি ফ্যাশনের দুনিয়ায় এখন নতুন ট্রেন্ড এই ইভিল আই?
জ্যোতিষশাস্ত্র তথা হিন্দুধর্মে নজর সুরক্ষা কবচের উল্লেখ পাওয়া যায়। অতীতেও কুনজর থেকে বাঁচার জন্য নজর সুরক্ষা কবচ পরার চল আমাদের মধ্যে ছিল। মনে করা হয়, নজর সুরক্ষা কবচ ধারণ করলে কুনজরের খারাপ প্রভাব থেকে আমরা কিছুটা হলেও রক্ষা পাব। ইভিল আই-ও সে রকমই একটি নজর সুরক্ষা কবচ। এটি পরার ফলে বিষনজরের খারাপ দিকগুলি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন:
ইভিল আই পরার উপকারিতাগুলি কী কী?
১. কথিত আছে, ইভিল আই পরলে মন শান্ত হয়। নেতিবাচক মনোভাবের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ইতিবাচক চিন্তাধারা তৈরি হয়। এর ফলে যে কোনও নতুন কাজ করার শক্তি পাওয়া যায়।
২. ভাগ্যের হাল ফেরাতেও সাহায্য করে ইভিল আই। বহু দিন ধরে আটকে থাকা কোনও কাজ খুব সহজেই মিটে যায়। ভাগ্য পুনরায় আপনার সঙ্গ দেওয়া শুরু করে।
৩. বাস্তুশাস্ত্র মতে, যে ঘরে ইভিল আই ঝোলানো হয়, সেই ঘরে অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। সেই বাড়ির লোকেদের মধ্যে সম্পর্কের ভীতও দৃঢ় হয়।
৪. কর্মক্ষেত্রেও ইভিল আই ঝোলানোর অনেক গুণ রয়েছে। কোনও সহকর্মী যদি আপনার খারাপ করতে চায়, তা হলে ইভিল আই আপনাকে সেই আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করবে।
আরও পড়ুন:
৫. অনেক সময় কুনজরের ফলে আমরা শারীরিক ভাবেও দুর্বল হয়ে পড়ি। রোগব্যাধি আমাদের পিছু ছাড়তে চায় না। ইভিল আই সঙ্গে থাকলে এই সমস্ত সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
৬. কেবল বিষনজর থেকে রক্ষা করাই নয়, সৌভাগ্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে ইভিল আই। জীবনে উন্নতির পথে আসা সমস্ত বাধা কাটিয়ে এটি আপনাকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছোতে সাহায্য করতে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়।