বর্তমানে সমাজে অপরাধ ও অপরাধীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই গভীর অন্ধকারের মধ্যেও আশার ক্ষীণ আলোক শিখা এখনও লুকিয়ে আছে। তার ফলে অসংখ্য অনাচার ও অত্যাচারের মধ্যেও কিছু সৎ মানুষ এখনও মাথা উঁচু করে বেঁচে আছেন। যাঁদের মধ্যে সদাচার, ভজন, কীর্তন, দেব-দ্বিজের সেবা, ভক্তি-শ্রদ্ধা এখনও দেখা যায়। এখনও অনেক মানুষ ধর্মকর্মে প্রবৃত্ত হতে চায়। কিন্তু বিভ্রান্ত হয়। প্রতিনিয়ত সংসারের নানান সমস্যায় জর্জরিত মানুষ আজ সমাধানের পথ খুঁজছে। মা লক্ষ্মী সেই পথের দিশা দেখাতে পারে।
মা মহালক্ষ্মীকে দেখা যায় কর্দম থেকে উত্থিত পদ্মের ওপরে বসে আছেন। যা আধ্যাত্মিক পবিত্রতা ও অনাশক্তির প্রতীক। মালক্ষ্মীর হাতের প্রহরণ শুভশক্তির প্রতীক, অশুভশক্তির বিনাশ করার জন্য। মন দিয়ে মা লক্ষ্মীর প্রার্থনা করলে মহাশক্তি স্বরূপিনী সকলের সব রকম কল্যাণ ও মঙ্গল বিধান করেন।
মহালক্ষ্মীর পুজোপাঠে ধন, মান, যশের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক সুস্থতাও আসে। বৃহস্পতি হল লক্ষ্মীর প্রতিক। বৃহস্পতি শুভ গ্রহ। তাই বৃহস্পতিবার মা লক্ষ্মীর আরাধনা করলে সকল দুঃখ দূর হয়। আর্থিক সমস্যারও সমাধান হয়। যদি কোনও বৃহস্পতিবার পূর্ণিমা হয়, তবে সেই দিন কোনও রমণী উপবাসে থেকে লক্ষ্মীমাতার পুজো করলে ধন-সম্পদে গৃহ পূর্ণ হয় এবং সকল সমস্যার সমাধান হয়। শরৎকালে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন মা থাকেন জাগ্রত। সে দিন মায়ের পুজো, স্তব ও দ্বাদশ নাম পাঠ করলে মায়ের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কী করলে লক্ষ্মী দেবী প্রসন্ন হবেন জানেন?
মা লক্ষ্মীর শ্রীযন্ত্রম পুজো করলেও সুখ-শান্তি, সম্পত্তি লাভ করা যায়। যদি কেউ শ্রীযন্ত্রম পুজো করতে চান, তবে কোনও বিদ্বান ব্রাহ্মণকে এনে যথাসাধ্য উপাচারে শ্রীযন্ত্রমের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে পুজো করতে হবে। এই মহালক্ষ্মীর যন্ত্রম নিত্য দর্শন করলেও লক্ষ্মী প্রাপ্তি হয়।
শরৎকালে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন শুদ্ধ বসনে মায়ের আরাধনা করলে লটারিতেও অর্থ লাভ হতে পারে, ব্যবসায় উন্নতি হয়। মনমতো চাকরি লাভ হয়, সুখ-সমৃদ্ধি লাভ হয়, শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকে। মা লক্ষ্মীর বার হিসেবে বৃহস্পতিবারকে মান্য করা হয়। বৃহস্পতির উন্নতির জন্য হলুদ পোখরাজ, হলুদ সুতো হাতে ধারণ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy