প্রতীকী ছবি।
জানুয়ারি মাসের মধ্যেই করোনা টিকার ১০ কোটি ডোজ ভারত পাবে বলে জানালেন সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-র সিইও আদর পুনাওয়ালা। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘ভারতে টিকা পেতে আরও দু’-তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে। ভারত সরকার আমাদের জুলাই মাসের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ১০ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে পারব আমরা।’’
পুনাওয়ালা বলেন, ‘‘টিকার সর্বোচ্চ মূল্য (এমআরপি) হবে ১০০০ টাকা। সরকারকে ২৫০ টাকা বা তার কম দামে টিকা সরবরাহ করা হবে।’’ সরকারি প্রক্রিয়ায় খুঁটিনাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়ে পুনাওয়ালা বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে টিকার ১০ শতাংশ খোলা বাজারে ছাড়া হবে। তবে তা পাওয়া সহজসাধ্য হবে না জানিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ সাধারণ ভাবে কাউকে উপযুক্ত মনে করলে তাঁকে টিকা দেওয়া হবে। দুর্বলতম অংশের কাছে টিকা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।’’
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’ তৈরি করছে সুইডেনের সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ভারতে সেই টিকা উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাসে পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা ৪ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলেছেন। ডিসেম্বর থেকে টিকা বণ্টনেরও ইঙ্গিত দেন তিনি। কিন্তু সেই ‘পূর্বাভাস’ মেলেনি।
আরও পড়ুন: ডোকলামে বাঙ্কার, অস্ত্রাগারের সারি, ভুটানের জমিতে সেনাঘাঁটি চিনের
সোমবারই অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মানবদেহে পরীক্ষায় (হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) তাদের টিকা ৯০ শতাংশ সাফল্য পেয়েছে। সংস্থার কার্যনির্বাহী প্রধান পাস্কাল সরিওট বিবৃতিতে জানান, ‘সোমবার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক মাইলফলক তৈরি করল সংস্থা। করোনা টিকার কার্যকারিতা প্রমাণ হয়েছে আজ। এটি নিরাপদ ও মানব শরীরে যথেষ্ট কার্যকর। এটি বাজারে এলে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রভাব পড়বে জনস্বাস্থ্যে। অনেকাংশে করোনা প্রকোপ রুখে দেওয়া সম্ভব হবে’।
আরও পড়ুন: করোনা জিতেও প্রয়াত অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy