Advertisement
E-Paper

সুদীর্ঘ সেতু বেয়ে খুব দ্রুত চিন সীমান্ত পৌঁছে যাবে ভারতের ব্যাটল ট্যাঙ্ক

দীর্ঘ সাত বছরের কৌতূহলের অবসান।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে পথ চলা শুরু করল দেশের দীর্ঘতম সেতু। ব্রহ্মপুত্রের উপনদী লোহিত নদীর উপর ধলা-শদিয়া সেতুই এই মুহূর্তে এশিয়ায় দীর্ঘতম।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ১৬:২০
এই মুহূর্তে এশিয়ায় দীর্ঘতম ধলা-শদিয়া সেতুই।ছবি: সংগৃহীত

এই মুহূর্তে এশিয়ায় দীর্ঘতম ধলা-শদিয়া সেতুই।ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ সাত বছরের কৌতূহলের অবসান।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে পথ চলা শুরু করল দেশের দীর্ঘতম সেতু। ব্রহ্মপুত্রের উপনদী লোহিত নদীর উপর ধলা-শদিয়া সেতুই এই মুহূর্তে এশিয়ায় দীর্ঘতম। শুক্রবার ভূপেন হাজরিকার নামে এই সেতুর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়করি, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। উত্তর-পূর্বের দুই প্রতিবেশী রাজ্য অসম-অরুণাচল প্রদেশ। এখনও পর্যন্ত কোনও বিমানবন্দর নেই অরুণাচলে। সড়কপথই একমাত্র ভরসা। ধলা থেকে শদিয়া— ৯.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ জুড়ে তৈরি হয়েছে এই সেতু। এর ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের কৃষি-অর্থনীতির উন্নতি হবে বলে দাবি কেন্দ্রের।

জেনে নিন এশিয়ার দীর্ঘতম এই সেতু সম্বন্ধে কিছু তথ্য:

১) ব্রহ্মপুত্রের উপনদী লোহিত নদী। এই নদীর উপরেই তৈরি হচ্ছে ধলা-শদিয়া সেতু।

২) উজান অসম থেকে অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব প্রান্তের মধ্যে বছরভর যোগাযোগ করা যাবে এই সেতুপথে। এত দিন বন্যার সময় এই পথে যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেত। ব্রহ্মপুত্রের এবার থেকে এই সমস্যার আর পড়তে হবে না সাধারণ মানুষকে।

৩) উজান অসম থেকে অরুণাচলে ঢুকতে এত দিন সময় লাগত ছ’ঘণ্টা। বিশেষ করে অসমের ধলা থেকে শদিয়া পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগত ৬ ঘণ্টা। এখন মাত্র এক ঘণ্টার পৌঁছনো যাবে এই পথ। ধলা-শদিয়া সেতু তৈরি হওয়ার তিনসুকিয়া সংলগ্ন এলাকা থেকে অরুণাচলের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ১৬৫ কিমি কমে গেল।

৪) সরকারের দাবি, এই সেতুপথে যাতায়াতের ফলে দিনে পেট্রল-ডিজেলের খরচ বাবদ প্রায় ১০ লাখ টাকা বাঁচবে।


যানচলাচলের জন্য প্রস্তুত ধলা-শদিয়া সেতু।

৫) উত্তর-পূর্বের এই এলাকা অত্যন্ত ভূকম্পপ্রবণ। সে জন্য সেতু ধরে রাখতে মোট ১৮২টি পিলার ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি পিলারেই রয়েছে ভূকম্প রোধ ব্যবস্থা।

৬) ৯.১৫ কিমি দীর্ঘ এই সেতুকে তিনটি লেনে ভাগ করা হয়েছে।

৭) ২০১১ থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেতুটি সম্পূর্ণ করতে খরচ পড়েছে ২,০৫৬ কোটি টাকা।

৮) কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, শুধু অসম, অরুণাচলের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নয়, দু’রাজ্যের কৃষির উন্নয়নেও কার্যকর পদক্ষেপ করবে এই সেতু।

আরও পড়ুন: চিন সীমান্ত ঘেঁষে এশিয়ার দীর্ঘতম নদীসেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

৯) শুধু সাধারণ মানুষই নয়, সেনাবাহিনীর কাছেও এই সেতুর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অরুণাচলের উত্তর দিকে রয়েছে চিন সীমান্ত। ফলে এই অঞ্চল থেকে দেশের মূলভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ধলা-শদিয়া সেতু। ব্যাটল ট্যাঙ্ক যাতায়াতের পরিকাঠামোও রয়েছে এই সেতুতে।

১০) নতুন সেতুটির অবস্থান অসমের রাজধানী দিসপুর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে আর অরুণাচলের রাজধানী ইটানগর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে। আবার চিন সীমান্ত থেকে আকাশপথে এর দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার। ফলে কৌশলগত ভাবে এই সেতু বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

Longest Bridge Dhola-Sadiya Bridge Brahmaputra River Indo-China Border Narendra Modi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy