মুজফ্ফরপুর হোম কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে বিস্ফোরক তথ্য জানাল সিবিআই। শুক্রবার এক হলফনামায় সিবিআই জানিয়েছে, ওই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অন্তত ১১টি কিশোরীকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কাছেই একটি কবরস্থানের বিশেষ জায়গা থেকে প্রচুর হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছে সিবিআই। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও তদন্তে ওই ১১ কিশোরীর নামও উঠে এসেছে। এই ঘটনার জেরে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ইস্তফা দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছে আরজেডি। তাদের দাবি, নীতীশ ইস্তফা না দিলে রাজ্যপালের উচিত রাজ্য সরকারকে বরখাস্ত করা।
টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিস)-এর তরফে রাজ্যের জুভেনাইল হোমগুলিতে গত বছর বিশেষ অডিট করা হয়। সেই অডিট রিপোর্টেই বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত মুজফ্ফরপুরের এই হোমে আবাসিকদের উপরে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি সামনে আসে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮-র মধ্যে ছ’জন কিশোরী ওই হোম থেকে নিখোঁজ হয়েছে বলেও অভিযোগ।
পরে মামলাটির তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ইতিমধ্যেই ব্রজেশ ঠাকুর-সহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। শুক্রবার আদালতে সিবিআই জানায়, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সের বিশেষ দলের উপস্থিতিতে তদন্তকারী অফিসারেরা প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই হোমে নির্যাতনের শিকার হওয়া অন্য কিশোরীদের দেওয়া বয়ান থেকে ব্রজেশ ঠাকুরের হাতে খুন হওয়া ওই ১১ কিশোরীর নাম জানতে পেরেছেন।