ক্লাসের আপাত শান্তশিষ্ট মেয়েটি চিঠিটা দিতে শিক্ষিকা ভেবেছিলেন, সাধারণ ছুটির আবেদন হবে হয়তো। বন্ধ খামের মুখ খুলতেই বেরিয়ে এসেছিল এক টুকরো কাগজ। কিন্তু তাতে ছুটির আর্জি নয়, কিশোরীর করুণ আর্তি, ‘‘বাবা আমাকে ধর্ষণ করে। মা আমার কথা শুনতে চাইছে না। দয়া করে আমাকে বাঁচান!’’
মুম্বইয়ের এক স্কুলের ঘটনা। শিশু-নিগ্রহ রুখতে কাউন্সেলিং সেশন হয়েছিল স্কুলে। তার পরই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটি ঠিক করে, শিক্ষিকাকেই জানাবে সে।
আজ সেই শিক্ষিকা জানিয়েছেন, এমন একটা চিঠি পেয়ে তাঁর ধাতস্থ হতে খানিক সময় লেগেছিল। তবে তিনি দ্রুত স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই সংস্থার সাহায্যেই গত সোমবার রাতে কিশোরীর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয় থানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটির বাবা ফল ব্যবসায়ী। মেয়ের ৭ বছর বয়স থেকেই তাকে ধর্ষণ করে চলেছে তার বাবা। এখন সে তেরো। নিজের বয়ানে ওই কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, ‘‘বাবা আমাকে মায়ের সামনেই ধর্ষণ করে। মা কিছুই বলে না। শুধু কতগুলো ওষুধ খেতে দেয়।’’
পুলিশের সন্দেহ ওই ওষুধগুলো আসলে গর্ভনিরোধক বড়ি। মেয়েটি আরও জানিয়েছে, দাদারা যখন বাড়ি থাকত না, তখনই বাবা তার উপর অত্যাচার করত। ওই কিশোরীর এক দিদিও রয়েছে। সে তাদের সঙ্গে থাকে না। কিশোরীর অনুমান, হয়তো
তার দিদির উপরও বাবা একই ভাবে নিগ্রহ চালাত। কিন্তু দিদি তাকে কিছু বলতে চায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় (ধর্ষণ) এবং ৫(এল)(এন) ধারায় (যৌন নিগ্রহ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন) এফআইআর করা হয়েছে ওই কিশোরীর বাবা-মা দু’জনের বিরুদ্ধেই। যদিও শুধু বাবাকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত কাল বছর পয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তিকে ঠাণে আদালতে তোলা হয়। ২৩ জুলাই পর্যন্ত তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিশোরী আপাতত হোমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy