মাওবাদী দমনে ফের বড়সড় সাফল্য। ছত্তীসগঢ়ের বস্তার এলাকার সুকমা জেলায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আজ অন্তত ১৫ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ১৬টি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধারের পাশাপাশি এক মহিলা-সহ আহত দুই মাওবাদীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতারও করেছে বাহিনী। সংঘর্ষে নিহত সতীর্থদের দেহ এমনিতে সরিয়ে ফেলে মাওবাদীরা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সংঘর্ষের পরে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে সেটাও ভেস্তে দেওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্য পুলিশের মাওবাদী-দমন শাখার কর্তা ডিএম অবস্তি।
এ দিনের অভিযানে সিআরপিএফের কোবরা বাহিনীর সঙ্গে গোড়া থেকেই ছিল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। মাওবাদীদের বড় দল যে কোন্টা এবং গোলাপ্পল্লি গ্রামের মাঝে জঙ্গলে গা-ঢাকা দিয়ে আছে, সেই খবর পেয়েই আজ সেখানে অভিযানে নামে বাহিনী। পুলিশের দাবি, বিপদ বুঝে প্রথমে মাওবাদীরাই গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় ২০০ জওয়ানের বাহিনীও। সংঘর্ষ থামার পরেও বেশ খানিকটা সময় ধরে জঙ্গল ও সংলগ্ন গ্রামগুলিতে তল্লাশি চালায় বাহিনী। যদিও আর কোনও মাওবাদী ঘাঁটি বা অস্ত্রশস্ত্রের খোঁজ মেলেনি।
রাজ্যে মাওবাদী হামলা যে ভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ সম্প্রতি মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের ডাক দিয়েছেন। অন্যথায়, নিরাপত্তা বাহিনী তাদের শেষ করে দেবে বলে কার্যত হুঁশিয়ারিও দেন। এ দিন ভোররাতের অভিযানে তেমনটাই হল। প্লাবিত নদীতে জঙ্গল ভরে যাওয়ায় মাওবাদীরা বর্ষায় সাধারণত ঘাঁটি ছেড়ে বেরোয় না। কিন্তু এ বার আগাম খবর পেয়ে গভীর জঙ্গলে ঢোকাতেই সাফল্য এসেছে বলে দাবি বাহিনীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy