ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল ১৪ বছর বয়সে। কিশোরীবেলা কাটতে না কাটতেই অপরিণত মা সে। ভারতীয় আইন অনুযায়ী ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত বৈধ। কিন্তু গর্ভপাতের অনুমতির জন্য আবেদন করতে অনেকটাই দেরি করে ফেলেছিল ওই কিশোরীর পরিবার। ১৯ সপ্তাহ ৬ দিনের ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা হওয়ার কারণে আলাদতের তরফে গর্ভপাতের অনুমতি মেলেনি বরেলীর ওই কিশোরীর। অবশেষে গত বছর অক্টোবরে সন্তানের জন্ম দেয় সে। সেই সময় গ্রেফতারও করা হয়েছিল ধর্ষণের প্রধান অভিযুক্ত আসিফ আলিকে। পরে জামিনে মুক্তি পায় সে। এ বার সেই আসিফের সঙ্গেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলেন ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা।
মেয়ে ও তার সন্তানের বোঝা টানা সম্ভব হচ্ছে না বাবার পক্ষে। তাই ধর্ষক আসিফের সঙ্গেই তিনি মেয়ের বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। বাবার দাবি অন্তত এমনই। নির্যাতিতার বাবা আরও জানান, প্রশাসনের কাছ থেকে মেয়ে ও তার সন্তানকে বড় করে তোলার জন্য অর্থসাহায্য চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বহু দরজায় হত্যে দিয়েও কোনও সাহায্য পাননি।
আরও পড়ুন: সুচ-কাণ্ডে উত্তরপ্রদেশ থেকে ধৃত সেই সনাতন