সিসিটিভি ক্যামেরায় এ ছবিই ধরা পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
আঠারো মাসের শিশুকে নির্বিচারে মারছে তার মা। লাথি-ঘুষি কিছুই বাদ নেই। শিশুটির চিলচিৎকারেও পরোয়া নেই ওই মহিলার। মেরেই চলেছেন একরত্তি ছেলেকে। এই অমানবিক ঘটনাই ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ওই মহিলার বিরুদ্ধে দিল্লির মহিলা কমিশনে অভিযোগ এনেছেন তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। পাশাপাশি, ক্রিমিনাল কেসও দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। আপাতত গা-ঢাকা দিয়েছেন নয়াদিল্লির গীতা কলোনির বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত মহিলা।
মহিলার শ্বশুর বাড়ির অভিযোগ, শুধুমাত্র ওই শিশুকেই নয়, স্বামীর গায়েও হাত তুলতেন তিন সন্তানের মা ওই মহিলা। এমনকী বাকি সন্তানদেরও প্রায়শই পেটাতেন তিনি। শিশুটির ঠাকুরমা বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে তিন বছর হল বিয়ে হয়েছে ওঁর। তিন সন্তান তো বটেই, ছেলের গায়েও প্রায় প্রতি দিন হাত তুলত। তবে আমাদের কাছে এর কোনও প্রমাণ ছিল না।” দিনের পর দিন এ ভাবেই চলতে থাকায় শেষমেশ ওই মহিলার কাণ্ডকারখানা ক্যামেরাবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বলেন, “আমরা ওই কুকীর্তি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরে রাখি। এর পরই দিল্লি মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হই।”
আরও পড়ুন
দিল্লিতে মার্সিডিজের ভিতরে কিশোরীকে গুলি করে মেরে ‘বন্ধু’ উধাও
দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল বলেন, “সিসিটিভি-র ফুটেজ নিয়ে ওই মহিলার শাশুড়ি আমাদের কাছে এসেছিলেন। তাতে যে ভাবে নিজের ছেলেকে মারছেন দেখলাম তা সত্যিই জঘন্য।” এর পরই ওই মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্বাতী আরও বলেন, “একটা জানোয়ারকেও এ ভাবে পেটানো যায় না, যে ভাবে উনি নিজের সন্তানকে মারছিলেন।” মহিলার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্বাতীর দাবি, “ওঁর মানসিক অবস্থার পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন।” এ বিষয়ে তাঁরা তদন্ত করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওই মহিলা যদি সত্যিই অসুস্থ হন তবে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাতী।
আপাতত কাকিমা ও ঠাকুরমার উপর ওই শিশুটির দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছে শিশু কল্যাণ সমিতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy