—প্রতীকী ছবি।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মধ্যপ্রদেশের সাতানা শহরের বাসিন্দা রাজ লোধি। ১৮ বছর বয়সি রাজ প্রস্তুতির জন্য বাড়ি থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে ইনদওরে একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তিও হয়েছিলেন। কিন্তু স্বপ্নপূরণ হল না তাঁর। তার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। বুধবার কোচিং সেন্টারে ক্লাস চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশের অনুমান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তিনি।
প্রতি দিনের মতোই বুধবারও কোচিং সেন্টারে গিয়েছিলেন রাজ। কিন্তু কিছু ক্ষণ পর শরীর খারাপ হতে শুরু করে তাঁর। রাজ যে হঠাৎ অসুস্থবোধ করছেন সে ব্যাপারে ক্লাসে উপস্থিত শিক্ষককেও জানান তিনি। কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের সূত্রে খবর, ১২টা ৪৯ মিনিটে রাজ জানিয়েছিলেন যে তাঁর শরীরে যন্ত্রণা করছে এবং তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। রাহুল যাদব নামে রাজের এক সহপাঠী পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন বলেন, ‘‘আমি রাজের পাশে বসেছিলাম। হঠাৎ দেখি ও হাত দুটো জোড় করে পড়া শুনছে। তার পর বেঞ্চের উপর মাথা রেখে দিল। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম রাজের বোধ হয় ঘুম পেয়েছে। কিন্তু পরে দেখলাম ওর মুখের অঙ্গভঙ্গি কেমন যেন বদলে যাচ্ছে। মনে হচ্ছিল খুব কষ্ট পাচ্ছে। আমি পিঠে হাত বুলিয়ে দিতেই দেখলাম ও বেঞ্চ থেকে নীচে পড়ে গেল।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ অসুস্থ বোধ করার ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যেই তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরিবারের সদস্যদেরও সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা রাজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার রাতে রাজের পরিবার হাসপাতালে পৌঁছয়। চিকিৎসকদের দাবি, হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন রাজ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে তবেই মৃত্যুর নেপথ্য কারণ জানা যাবে।
রাজের দাদা অক্ষয় লোধি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, প্রতি দিন ভোর ৫টায় উঠে শরীরচর্চা করতে জিমে যেতেন রাজ। নিয়মিত ‘প্রোটিন ডায়েট’-এর মধ্যেও ছিলেন তিনি। অক্ষয়ের আরও বক্তব্য, কয়েক দিন আগে নাকি চুল সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন রাজ। প্রচুর পরিমাণে চুল পড়ে যাওয়ার কারণে ওষুধও খাচ্ছিলেন তিনি। ময়নাতদন্তের পর রাজের দেহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy