ফাইল চিত্র।
উত্তরাখণ্ডে হড়পা বানে কাদামাটির স্তূপে তলিয়ে যাওয়া আরও দু’টি দেহ আজ উদ্ধার করল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৭। তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছে ওই দেহ দু’টির খোঁজ মিলেছে। গত কাল সন্ধেয় এই প্রকল্পের কাছে আরও তিনটি দেহের খোঁজ মিলেছিল।
হিমবাহ ভেঙে তুষারধস ও তার জেরে নদীর জলস্তর বেড়ে সে দিন বানভাসি হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের চামোলির বিস্তীর্ণ এলাকা। বিপর্যয়ের পরে পনেরো দিন কেটে গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চললেও এখনও খোঁজ মেলেনি অনেকের। পুরোপুরি ভেসে গিয়েছে ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অনেকের।
তবে একই সঙ্গে ওই বিপর্যয়ের গর্ভে রোপিত হয়েছিল আর এক আশঙ্কার অঙ্কুর। হিমবাহ ভেঙে আসা নুড়ি, কাদা, পাথর, পলিতে আচমকা রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল ঋষিগঙ্গা নদীর গতিপথ। রাতারাতি সৃষ্টি হয়েছিল বিপুলাকৃতি একটি হ্রদের। উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছিল পান্না সবুজ রঙা সেই হ্রদের ছবি। এ দিকে খরস্রোতা রন্তি নদীর জলে পুষ্ট ঋষিগঙ্গার রুদ্ধ পথে তৈরি সেই হ্রদে জলের চাপ বাড়ছিল ক্রমাগত। তাতে হ্রদের পাড় ভেঙে দ্বিতীয় বার বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হ্রদ থেকে অল্প অল্প করে জল বার করে চাপ কমানোর চেষ্টা আগেই শুরু হয়েছিল। হ্রদের বাঁধ ভেঙে ফের বিপদের আশঙ্কা কতটা, তা খতিয়ে দেখতে এ বার নৌবাহিনীর দক্ষ ডুবুরিদের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দুর্গম ওই জায়গায় হেলিকপ্টারে করে ডুবুরিদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হ্রদের গভীরতা মাপতে ডুবুরিরা দড়ি বেয়ে জলে নামেন। বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে শব্দতরঙ্গ পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বার তা বিশ্লেষণ করে হ্রদের গভীরতা মাপা হবে। বোঝা যাবে জলের চাপ কত। আর সেই চাপ সামলানোর মতো ক্ষমতা ওই হ্রদের রয়েছে কিনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy