মাধ্যমিক পরীক্ষায় জালিয়াতির শিকার হয়ে দুই ছাত্র এখন পুলিশের দ্বারস্থ।
পুলিশ জানায়, অভিযোগকারী জায়েদ আবদুল্লা চৌধুরী ও শাহিন আহমদ চৌধুরী এই বছর অ্যাঞ্জেল স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। পাশ করতে পারেনি। আগামী বছরে আবার পরীক্ষা দেবার জন্য প্রস্তুতির মধ্যেই ধরা পড়ে, পরীক্ষা জালিয়াতির জাল ছড়িয়েছে শিলচর নাগাটিলার এই বেসরকারি স্কুল পর্যন্ত। ফের পরীক্ষার বসার জন্য স্কুলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ পুরনো রেজিস্ট্রেশনের বদলে তাদের নতুন করে রেজিস্ট্রশন করিয়ে নিতে বলে। তাতেই সন্দেহ হয় অভিভাবকদের। অসম মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডের বিষয়ে জানতে চায়। পর্ষদ সোজা জানিয়ে দেয়, ওইগুলি মোটেও তাদের দেওয়া রেজিস্ট্রেশন কার্ড নয়। এমনকী, মার্কশিটটিও তাদের নয়।
পুলিশ মামলা গ্রহণ করেছে। জানিয়েছে, শীঘ্র তারা তদন্তে নামবেন। স্কুলের স্বত্বাধিকারী নজির আহমেদ চৌধুরীর বক্তব্য, রেজিস্ট্রেশন-মার্কশিট অ্যাকাডেমিক ব্যাপার। তিনি সে সব ব্যাপারে কিছুই জানেন না। অধ্যক্ষের দিকে বল ঠেলে দেন স্বত্বাধিকারী চৌধুরী। অধ্যক্ষ মৃদুলা সরকার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমারই প্রথম দু’জনের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখে সন্দেহ হয়। তাদের পর্ষদে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দিই। মামলা হওয়ায় ভালই হয়েছে। তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।’’
মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ ধরনের জালিয়াতির ব্যাপার সামনে আসায় উদ্বেগে অন্যান্য অভিভাবকরাও। তাঁরা পুলিশকে দ্রুত তদন্তের আর্জি জানান।