গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
জমি বিবাদের জেরে বিহারের নওয়াদায় দলিতদের মহল্লা জ্বালিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। বুধবার রাতে মোট ২১টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বিহারে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আক্রান্তেরা সকলেই ‘মহাদলিত’ জনগোষ্ঠীর।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বৃহস্পতিবার বিহার পুলিশের এডিডি (আইনশৃঙ্খলা)-কে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত তদন্ত এবং দোষীদের গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছেন। কংগ্রেস, আরজেডি, বিএসপি-সহ বিরোধী দলগুলি ঘটনার জন্য বিহারের জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। তাদের অভিযোগ, এনডিএ সরকারের আমলে বিহারে দলিত এবং আদিবাসীদের উপর তথাকথিত উচ্চবর্ণের অত্যাচার বাড়ছে।
নওয়াদার পুলিশ সুপার অভিনব ধীমান বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমার কাছে একটি ফোন আসে। বলা হয়, মাঝিঁটোলায় কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়েই দমকলের ইঞ্জিন-সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সময় লাগে।’’ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সন্ধ্যা ৭টার দিকে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা দলিত মহল্লার বাড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। গ্রামের একটি জমি ঘিরে বিবাদের জেরে এই ঘটনা বলেই অভিযোগ। জেলাশাসক আশুতোষ বর্মা বলেন, ‘‘ঘরহারা পরিবারগুলির জন্য আমরা আশ্রয় এবং খাদ্যের ব্যবস্থা করেছি।’’
প্রসঙ্গত, আশি এবং নব্বইয়ের দশকে বিহারের জেহানাবাদ, ভোজপুর, অওরঙ্গাবাদ, গয়ার মতো নওয়াদাতেও দাপট ছিল তথাকথিত ‘উচ্চবর্ণ’ ভূমিহার জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র বাহিনী রণবীর সেনার। সে সময়ে বিহারের বিভিন্ন স্থানে দলিতদের উপর হামলা এবং হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছিল ওই বাহিনী। ঘটনাচক্রে, বিহারের সামাজিক সমীকরণে ভূমিহারেরা বিজেপির সমর্থক বলে চিহ্নিত। বিজেপির ভূমিহার নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ নওয়াদার সাংসদ ছিলেন। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, ‘‘এনডিএ ডাবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে দলিতেরা কেমন আছে, নওয়াদার ঘটনাই তার প্রমাণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy