চুল প্রতিস্থাপন করতে গিয়ে মৃত্যু হল ২২ বছরের এক ডাক্তারির ছাত্রের। নাম সন্তোষ। গত মাসে চেন্নাইয়ের একটি চুল প্রতিস্থাপন (হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট) কেন্দ্রের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু অস্ত্রোপচারের দু’দিন পরেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মেডিক্যালের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন সন্তোষ। তাঁর মা জোসবিন জানিয়েছেন, প্রায় ১২০০ চুল প্রতিস্থাপন করতে গিয়েছিলেন তাঁর ছেলে। খরচ হয় ৭৩ হাজার টাকা। ১০ ঘণ্টা ধরে চলে সেই অস্ত্রোপচার। কিন্তু তার পর পরই জ্বর এসে যায় সন্তোষের। তাঁর মায়ের অভিযোগ, যাঁরা অস্ত্রোপচার করেছিলেন তাঁরা আদৌ শল্য চিকিৎসক নয়।
প্রশাসন জানিয়েছে, শুধু মাত্র সেলুন চালানোর লাইসেন্স ছিল ওই প্রতিস্থাপন কেন্দ্রের। এবং সেই লাইসেন্সের মেয়াদও ফুরিয়েছে দু’মাস আগে। কোনও ওটি-ও ছিল না সেখানে।
জোসবিন বলেছেন, ‘‘এদের জীবনের কোনও দাম নেই।’’ দুই চিকিৎসকের গ্রেফতারের দাবিও করেছেন জোসবিন। ময়না-তদন্ত ছাড়াই সন্তোষের দেহ কবর দেওয়া হয়েছিল প্রথমে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে কবর থেকে এখন দেহটি তোলার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত প্রতিস্থাপন কেন্দ্রটির কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠিয়েছে রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিল। আপাতত কেন্দ্রটি বন্ধ রাখা হয়েছে। আরও ১৭টি শহরে এই কেন্দ্রটির শাখা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy