উত্তরাখণ্ডের গঢ়ওয়াল পাহাড়ে টানা বৃষ্টির জেরে গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী হাইওয়ের অনেক জায়গা নতুন করে ধসপ্রবণ এবং বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এ বছরে বর্ষার মরসুমে উত্তরাখণ্ডে ঘন ঘন মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বান নামছে প্রতিনিয়তই। সম্প্রতি উত্তরকাশীর ধরালীতে ভয়াবহ হড়পা বান নেমে এসেছিল, যার জেরে ধরালী গ্রাম এবং তার পার্শ্ববর্তী হর্ষিল গ্রামের বেশির ভাগ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে একের পর এক দুর্যোগ নেমে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এই মরসুমে টানা দুর্যোগের জেরে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী হাইওয়ে অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বিশেষ ধসের কারণে। গত ১৬ বছরে এই দুই হাইওয়েতে নতুন ২৩টি জায়গা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সেগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ধারাসু, নালুপানি, নালুনা এবং দাবরানি-সহ ১০-১৫টি বিপজ্জনক এবং ধসপ্রবণ জায়গা রয়েছে গঙ্গোত্রী হাইওয়েতে। যমুনোত্রী হাইওয়েতেও ঠিক একই ভাবে ধসপ্রবণ জায়গার সংখ্যা বাড়ছে। আগেই এই হাইওয়ের ছয় জায়গাকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তার সঙ্গে এ বার জুড়েছে কল্যাণী এবং জঙ্গলচাট্টি এই দু’টি জায়গা।
আরও পড়ুন:
উত্তরকাশীর বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক শার্দূল গুসাঁই জানিয়েছেন, জুলাই-অগস্টে ক্রমাগত বৃষ্টির জেরে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত পুরনো জায়গাগুলি আবার সক্রিয় হয়েছে। তার সঙ্গে নতুন বেশ কয়েকটি জায়গা বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। ফলে এই দুই হাইওয়েতে পুণ্যার্থী এবং গাড়িচালকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে প্রশাসন।
গুসাঁই বলেন, ‘‘ধারাসু থেকে গঙ্গোত্রীর মধ্যে গঙ্গোত্রী হাইওয়ের ১২৮ কিলোমিটার রাস্তায় ১৫টি জায়গা বিপজ্জনক। আর ধারাসু থেকে যমুনোত্রীর মধ্যে যমুনোত্রী হাইওয়ের ১০৫ কিলোমিটার রাস্তায় ৮টি জায়গাকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।’’ বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টির জেরে নতুন নতুন জায়গা ধসপ্রবণ হয়ে উঠছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে রাজ্য জুড়ে। ফলে আরও ধস এবং হড়পা বানের আশঙ্কা রয়েছে। রাস্তা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।