Advertisement
E-Paper

মুম্বই হামলায় হাত ছিল পাকিস্তানের, ফের সরব প্রাক্তন পাক এনএসএ

মুম্বই হামলা নিয়ে ফের ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে বিঁধলেন মেহবুব আলি দুরানি। পাকিস্তানের প্রাক্তন এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আবারও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন, ২৬/১১-র ওই হামলার ঘটনায় পাক সন্ত্রাসবাদীদের হাত ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৭ ১৭:২৮

মুম্বই হামলা নিয়ে ফের ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে বিঁধলেন মেহবুব আলি দুরানি। পাকিস্তানের প্রাক্তন এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আবারও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন, ২৬/১১-র ওই হামলার ঘটনায় পাক সন্ত্রাসবাদীদের হাত ছিল। যদিও এই প্রথম নয়! এর আগে ২০০৯-এও তিনি এমন দাবি করেছিলেন। তার পরেই তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

নয়াদিল্লির ‘ইনস্টিটিউট অব ডিফেন্স অ্যান্ড স্টাডিস অ্যান্ড অ্যানালিসিস’-এ ১৯তম ‘এশিয়ান সিকিউরিটি কনফারেন্স’ চলছে। সোমবার সেখানে দুরানি বলেন, ‘‘কমান্ডো-স্টাইলে ওই সন্ত্রাস হামলা আসলে পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন করেছিল। সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গি আক্রমণের অন্যতম উদাহরণ ২৬/১১-র মুম্বই হামলা।’’ সন্ত্রাস রুখতে এশীয় দেশগুলির মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলার বিষয়টিকেই এ বার ‘এশিয়ান সিকিউরিটি কনফারেন্স’-এর থিম করা হয়েছে। সেই সম্মেলনে দুরানির এমন দাবিতে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে পাকিস্তান। তবে তাদের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

ভারতও দুরানির বক্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে বিদেশ মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য, ‘‘এত দিন ভারত এটাই বলে এসেছে। আমাদের সেই দাবিকেই এ দিন দুরানি সিলমোহর দিয়েছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান যে সীমান্তে সন্ত্রাস চালাচ্ছে সে কথা আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বলে আসছি। এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ও নথি তুলে দেওয়া হচ্ছিল পাকিস্তানের হাতে। আমাদের দাবি যে সত্যি, দুরানির বক্তব্যে আবারও তা প্রমাণিত হল।’’ তবে, পাকিস্তানের মনোভাব যে এক ফোঁটাও বদলায়নি, তার প্রমাণও দুরানি। কারণ, ২০০৯-এ যখন তিনি এই সত্যি কথাটা প্রথম বলেছিলেন। আর সে কারণে তাঁকে চাকরি খোয়াতে হয়েছিল।

২০০৮-এ করাচি থেকে সমুদ্র পেরিয়ে মুম্বইয়ে হামলা চালিয়েছিল ১০ পাকিস্তানি জঙ্গি। সেই সময় পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন দুরানি। ওই হামলাতে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার হাত ছিল বলে প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে ভারত। সে সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য-নথি পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছিল ভারত। দুরানি সেই সময় ভারতের দাবির পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের ভূমিকার কথা মেনে নেন। তার বছরখানেকের মধ্যেই ২০০৯-এ দুরানিকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয় পাকিস্তান।

আরও পড়ুন: অবসরে আইএনএস বিরাট, মিউজিয়াম নাকি লোহার দরে বিক্রি, কী হবে?

Mahmud Ali Durrani Pakistan Mumbai attack
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy