প্রতীকী ছবি।
অন্ধ্রপ্রদেশের এলুরু শহরে অজানা রোগে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত ২৯২ জন। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এঁরা কেউ কোভিড পজ়িটিভ নন। হঠাৎ খিঁচুনি ও বমির ভাব দেখা দিচ্ছে। অচৈতন্য হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। ৪৫ বছর বয়সি যে ব্যক্তি রবিবার মারা গিয়েছেন, তাঁর বমির ভাব ও মৃগীর লক্ষণ ছিল। আপাত স্বস্তির দিক হল, হাসপাতালে চিকিৎসার পরে অসুস্থদের প্রায় অর্ধেক, ১৪০ জন ইতিমধ্যেই সেরে উঠে বাড়ি ফিরেছেন। অনেকে কয়েক মিনিটেই সেরে উঠছেন। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে সাত জনকে বিজয়ওয়াড়ায় পাঠাতে হলেও বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল।
অসুস্থদের সকলের রক্ত পরীক্ষা, সিটি স্ক্যান বা ‘সেরিব্রাল স্পাইনাল ফ্লুইড’ পরীক্ষা হয়েছে। ধরা পড়েনি রোগ। পানীয় জলেও সমস্যা মেলেনি। তবে এলাকা থেকে দুধের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বিজয়ওয়াড়ায় পাঠানো হয়েছে। ‘ই-কোলাই’ পরীক্ষার ফল আসা বাকি। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, এই সমস্যার মূলে ক্লোরিন-যুক্ত কোনও জৈব যৌগ থাকতে পারে। তবে সব মিলিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এখনও অন্ধকারে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আজ জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেডি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিশন ফোনে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। রাজ্যপাল বিশ্বভূষণ হরিচন্দন অজানা রোগটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অসুস্থদের যথাযথ চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে বলেছেন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে। উপমুখ্যমন্ত্রী এ কে কে শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, ৫০টি শয্যা তৈরি রাখা হয়েছে শুধু এই অজানা রোগে অসুস্থদের জন্য। ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু রেখেছে এলুরু পুর প্রশাসন। তেলুগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু, আচমকা এই অজানা রোগের প্রকোপের জন্য জগন্মোহন সরকারের ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত দাবি করছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy