Advertisement
১৬ মে ২০২৪
Accident

গাড়ির ভিতরে তিন শিশুর দেহ! খেলতে গিয়ে নিখোঁজ সন্তানদের ২৪ ঘণ্টা পর খুঁজে পেলেন বাবা-মায়েরা

শনিবার দুপুরে খেলতে বেরিয়ে সন্ধে পর্যন্ত তিন জনেই না ফেরায় দুই পরিবার চিন্তায় পড়ে। বাড়ির আশপাশে অনেক খুঁঁজে তাদের দেখা না পেয়ে শেষে পুলিশে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে দুই পরিবার।

3 kids found dead

প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নাগপুর শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩ ১৯:০৩
Share: Save:

খেলতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল তিন শিশু। পুলিশ তাদের দেহ খুঁজে পেল বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি পুরনো গাড়ির ভিতরে। মৃত তিন শিশুর বয়স ৪-৬ বছরের মধ্যে। প্রাথমিক পরীক্ষার পর পুলিশের অনুমান গরমে বদ্ধ গাড়ির ভিতরে দমবন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই তিন শিশুর।

মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ঘটনা। সেখানকার পাঁচপাওয়ালি থানার ফারুখ নগরে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই নিখোঁজ তিন শিশুকে নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে চার বছরের তওফিক, ৬ বছরের আলিয়া এবং তারই সমবয়সি আফরিন খেলতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। এর মধ্যে আলিয়া এবং তওফিক ভাই-বোন। আফরিন তাদের প্রতিবেশী।

শনিবার দুপুরে খেলতে বেরিয়ে সন্ধে পর্যন্ত তিন জনেই না ফেরায় দুই পরিবার চিন্তায় পড়ে। বাড়ির আশপাশে অনেক খুঁঁজে তাদের দেখা না পেয়ে শেষে পুলিশে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে দুই পরিবার। পুলিশ নানা জায়গায় তল্লাশি চালানোর পর শেষে এক কনস্টেবল আলিয়াদের বাড়ির কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি পুরনো গাড়ির ভিতরে তিন জনের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই তিন শিশু খেলার নামে গাড়ির ভিতরে ঢুকে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে সম্ভবত তারা আর সেই বন্ধ দরজা খুলে বেরোতে পারেনি। গরমে গাড়ির তাপে বদ্ধ অবস্থায় শ্বাসরোধ হয়েই মৃত্যু হয় তাদের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তিন শিশুর দেহের ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। তবে ময়নাতদন্তের জন্য পরিবারের অনুমতির অপেক্ষা করছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Accident Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE