পুলিশের গুলিতে তিন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হল। আহত ১২ জন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন। আজ বিকেলে এমনই অভিযোগ উঠেছে রামগড়ের কাছে গোলায় ইনল্যান্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট নামে একটি কারখানার সামনে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে গোলা থেকে সিকদিরি যাওয়ার রাস্তা। এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উত্তেজনা রয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোলার ওই কারখানার সামনে গত এক সপ্তাহ ধরে কয়েক জন কর্মী বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে সেই দাবি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু সেই আলোচনা শেষ ফলপ্রসু হয়নি। এরপরই কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে জনতা পুলিশ খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়।
পুলিশের দিকে পাথর ছোড়া হয়। এরপর পুলিশ হঠাৎই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, পুলিশ ৩০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। পুলিশের গুলিতে তিনজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক জন গুরুতর জখমকে রাঁচির রিমসে পাঠানো হয়েছে।
খবর ছড়িয়ে পড়তে জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে রয়েছেন রামগড়ের এসপি এম তামিলভরন। মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস এক সপ্তাহের মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ এই বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছে। রামগড়ের ভারপ্রাপ্ত ডিসি সুনীল কুমার জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের দিক থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি ছোড়া হয়েছিল। বাধ্য হয়ে নিরাপত্তাবাহিনী তার পাল্টা জবাব দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy