প্রতীকী ছবি।
ডাইনি সন্দেহে এক পরিবারের তিন জনকে অপহরণ করে তাদের গলা কেটে খুনের ঘটনা এ বার ঝাড়খণ্ডের খুন্তিতে। এক গুণিনের নির্দেশেই এমন ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে জানতে পেরেছে পুলিশ। তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও অন্যতম অভিযুক্ত গুণিন-সহ অন্তত ৬ জন এখনও অধরা। তাদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি তিন সপ্তাহ আগে। সেপ্টেম্বরে গ্রামের একটি শিশু জন্মের কয়েক দিন পরেই মারা যায়। শিশুটির পরিবারের লোক গুণিনের দ্বারস্থ হলে সে জানায়, গ্রামের বীরসা মুণ্ডার পরিবার ডাইনি-চর্চা করে। তাদের তন্ত্রমন্ত্রেই শিশুটি মারা গিয়েছে। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে জানতে পারে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৪৮ বছরের বীরসা মুণ্ডা, তাঁর স্ত্রী সুকরু পুর্তি (৪৩) এবং তাঁদের এক মেয়ে সোমওয়ার পুর্তি-কে (২০) অপহরণ করে ঘন জঙ্গলে নিয়ে যায় কয়েক জন। পরে তাদের গলা কেটে খুন করা হয়। গ্রামেরই এক পরিবারের তিন জন রাতারাতি উধাও হয়ে যাওয়ার পরেও বিষয়টি নিয়ে নীরবই ছিলেন গ্রামবাসীরা। দিন কয়েক আগে বীরসা-সুকরু-র আর এক মেয়ে তেলানি বাড়ি ফিরলেও বাবা-মা-বোনের দেখা না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। গোটা গ্রাম তন্নতন্ন করে খুঁজেও মা-বাবা-বোনের খোঁজ না পেয়ে তার সন্দেহ হয়। এর পরেই তেলানি স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করে অভিযোগ দায়ের করেন।
তেলানির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। পুলিশ কুকুর এনেও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় তারা। কিন্তু কোনও সূত্রই হাতে আসেনি। কয়েক দিন পরে গোপন সূত্রে গোটা ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। তার পরেই ফের তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। খুন্তির ঘন জঙ্গল থেকে ক্ষতবিক্ষত তিন মুন্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়।
পরে আরও তল্লাশি চালিয়ে তিনটি মুন্ডও উদ্ধার করে পুলিশ। খুন্তির পুলিশ সুপার আশুতোষ শেখর এ দিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এর পরে তদন্ত চালিয়ে গ্রামেরই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy