শুক্রবার সন্ধ্যায় মধ্যপ্রদেশের খণ্ডবা জেলার পিপলোড় থানা এলাকায় মারধরের খবর পেয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
বোনের সঙ্গে দেখা করতে দীর্ঘ দিন পরে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন দাদা। তাঁর বাড়িতে বসে গল্পগুজব করার সময় দু’জনকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে বার করে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করলেন ৩ ব্যক্তি। অভিযোগ, প্রেমিক-প্রেমিকা ভেবে তাঁদের উপর চড়াও হয়েছিলেন ওই ৩ জন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মধ্যপ্রদেশের খণ্ডবা জেলার পিপলোড় থানা এলাকায় মারধরের খবর পেয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খণ্ডবা জেলার পুলিশ সুপার সত্যেন্দ্র শুক্ল রবিবার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় বোনের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন ঝারিখেড়া গ্রামের বাসিন্দা জ্ঞানলাল। সে সময় বাড়িতে একাই ছিলেন তাঁর বোন কলাবতী। অভিযোগ, দু’জনে বসে গল্পগুজব করার সময় জোরজবরদস্তি করে বাড়ির ঢুকে পড়েন রামদাস মাংতু, দয়ারাম টিকারাম এবং ঈশ্বর ওরফে হনু। এর পর জ্ঞানলাল এবং তাঁর বোন কলাবতীকে বাড়ির বাইরে বার করে এনে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম পিটুনি দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে চলে গালিগালাজও। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে মারধরের খবর পেয়ে অভিযুক্তদের এক জনকে ফোন করেন কলাবতীর স্বামী। জ্ঞানলাল যে তাঁর শ্যালক হন, সে কথাও জানান তিনি। তবে তাতে নিরস্ত হননি অভিযুক্তেরা। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে জ্ঞানলাল এবং তাঁর বোনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তত ক্ষণে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন অভিযুক্তেরা।
পুলিশের কাছে অভিযোগপত্র জ্ঞানলালের দাবি, ‘‘৩ জনে মিলে জোর করে আমাদের রাস্তায় টেনে নিয়ে যান। সেখানে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে চলে মারধর। আমার শার্টও ছিঁড়ে দেন তাঁরা।’’
জ্ঞানলালের বয়ানের ভিত্তিতে ওই ৩ অভিযুক্তের সন্ধানে নামে পুলিশের একটি দল। রাতেই তাঁদের পাকড়াও করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy