Advertisement
E-Paper

‘মা, দাদারা মিলে বাবাকে মেরে ফেলেছিল’! যুবকের কথা শুনে মাটি খুঁড়ে ৩০ বছর আগের কঙ্কাল উদ্ধার

হাথরসের এক যুবক সম্প্রতি পুলিশকে জানিয়েছেন, ৩০ বছর আগে তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছিল। নেপথ্যে ছিল মা এবং দাদাদের ষড়যন্ত্র। সেই অনুযায়ী উঠোন খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে কঙ্কাল।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২১
উত্তরপ্রদেশে গ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার কঙ্কাল।

উত্তরপ্রদেশে গ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার কঙ্কাল। —প্রতীকী চিত্র।

তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছিল। পুঁতে দেওয়া হয়েছিল বাড়ির উঠোনেই। ৩০ বছর পর সেই ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন যুবক। জানালেন, তাঁর মা এবং দাদারা মিলেই বাবাকে খুন করেছিলেন। যুবকের অভিযোগ শুনে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে উঠোনের মাটি খোঁড়ে পুলিশ। পাওয়া যায় ৩০ বছর আগের কঙ্কাল। যার ফলে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের হাথরসের গিলোন্দপুর গ্রামের। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন বুধ সিংহ। চাষবাস করতেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৯৯৪ সালে তিনি আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান। তার পর থেকে আর তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিছু দিন আগে ওই ব্যক্তির পুত্র পঞ্জাবি সিংহ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, ৩০ বছর আগে আদৌ তাঁর বাবা নিখোঁজ হননি। তাঁকে খুন করা হয়েছিল। নেপথ্যে ছিল তাঁর মা এবং দাদাদের ষড়যন্ত্র।

এত দিন পরে কেন পুলিশকে জানালেন? অভিযোগকারী জানান, তিনি ৩০ বছর আগে এই ঘটনার কথা জানতেন না। তখন তাঁর বয়স ছিল ১০ বছর। সম্প্রতি দাদার সঙ্গে বচসার পর এ বিষয়ে তাঁর সন্দেহ জোরালো হয়। তার ফলেই অনুসন্ধান করেন তিনি। জানতে পারেন বাবার খুনের কথা। যুবকের বাড়ি থেকে পাওয়া কঙ্কালটি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। কঙ্কালটি যে যুবকের বাবারই, তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না, জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

এই ঘটনায় যুবকের ভূমিকাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। বাবার মৃত্যুতে তাঁর কোনও হাত ছিল কি না, দাদাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন, কোনও শত্রুতার জেরে এই অভিযোগ কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

UP Crime Crime News Hathras Skeleton Murder allegation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy