ওড়িশায় পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর (এসআই) পদে নিয়োগের পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ। ৩০০টি পদে নিয়োগের জন্য চাকরি বিক্রি করার চেষ্টা হয়েছিল বলেও তদন্তে উঠে এসেছে। ওড়িশা পুলিশের অপরাধদমন শাখা (ক্রাইম ব্রাঞ্চ)-র তদন্তে দেখা গিয়েছে, নকল অ্যাডমিট কার্ড তৈরি করে পরীক্ষার্থীদের একাংশের পরীক্ষার জায়গা বদলে দেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারীদের একাংশকে উদ্ধৃত করে ওড়িশার সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীরা টাকা দেওয়ার পরেই তাদের ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হত। এমন জায়গায় তাদের পরীক্ষা ফেলা হত, যেখানে ওই পরীক্ষার্থীরা কারচুপির প্রয়োজনীয় সুযোগসুবিধা পাবেন।
এই ঘটনায় তদন্তকারীদের নজর রয়েছে ওড়িশার দু’টি বেসরকারি সংস্থা ‘সিলিকন’ এবং ‘পঞ্চসফ্ট’। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ১১৪ জন পরীক্ষার্থীকে। তাঁরা নির্দিষ্ট বাসে চেপে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন। ট্রেনে চেপে যে ১৮৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন, তাঁরা পালিয়ে যান। এখনও তাঁদের নাগাল পায়নি পুলিশ। পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ‘ওড়িশা পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড’।
চাকরি দুর্নীতিতে শঙ্কর প্রুস্টি নামের এক ব্যক্তিকেই মূল অভিযুক্ত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাঁর আর খোঁজ নেই। পুলিশ সূত্রে খবর, শঙ্কর নেপাল হয়ে দুবাই পালিয়ে গিয়েছেন। সেখান থেকেই ওড়িশা হাই কোর্টে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেছেন। চাকরি দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি কী ভাবে দেশ ছেড়ে পালাতে পারলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রযুক্তিগত কারিকুরি করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির চেষ্টা করেছিলেন শঙ্কর। দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পরেই একাধিক ‘মিডলম্যান’, পরীক্ষার্থীদের একাংশকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।