বর্ষবরণের রাতে শুরু হয়েছিল অবাধ শ্লীলতাহানি। কিন্তু কোনও মহিলা এফআইআর না করায় পুলিশ প্রথম তিন দিন কোনও পদক্ষেপই করেনি। কাল ভাইরাল হওয়া একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফের উস্কে দিয়েছে প্রশ্ন। ওই ফুটেজের সূত্র ধরে পূর্ব বেঙ্গালুরুর কাম্মানহাল্লি ফিফথ মেন রোডের কাছে শ্লীলতাহানির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আজ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। তাঁর দাবি, পোশাক প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছে সংবাদমাধ্যম!
গত কালকের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কী ভাবে বাইকে চড়ে আসা দুই যুবক উত্তর-পূর্ব থেকে আসা এক তরুণীর শ্লীলতাহানি করছে। পুলিশ জানায়, মূল অভিযুক্তের নাম আয়াপ্পা। সে একটি কলেজে কারিগরি শিক্ষার ছাত্র। এবং একটি সংস্থায় ‘ডেলিভারি বয়’ হিসেবে কাজও করে। ধৃত বাকি তিন জনের নাম লেনো, সোম শেখর, সুদেশ। এদের মধ্যে সুদেশ গাড়ি চালায়। পুলিশের দাবি, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মেয়েটির উপরে নজর রাখছিল এই চার জন। মেয়েটি যে এলাকায় থাকেন, সেই এলাকার কাছেই তারা থাকত।
বর্ষবরণের রাতে শ্লীলতাহানির পরে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘মেয়েদের ছোট পোশাকই এ ধরনের ঘটনা ডেকে আনে।’’ সেই মন্তব্য নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়। আজ সেই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি একবারও হেনস্থার প্রসঙ্গে এ কথা বলিনি। আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, নিরাপত্তা বাড়াতে পুলিশ কমিশনারকে শহর জুড়ে ৫৫০ সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হচ্ছে হেল্পলাইনের সংখ্যাও।
যতই সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করুন না কেন, মন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনায় সরব অনেকেই। ফারহান আখতার, আমির খানের পরে আজ টুইটারে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে অক্ষয় কুমার বলেছেন, ‘‘বেঙ্গালুরুর ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে, আমরা ক্রমশ পিছনের দিকে হাঁটছি। সব চেয়ে লজ্জার বিষয়, এমন ঘটনার পরেও মেয়েদের পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তুলে লোকজন অন্যায়টাকে ঠিক প্রমাণ করতে চায়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy