সৌদি আরবে ৪২ জন ভারতীয় পুণ্যার্থীর মৃত্যু হল সড়ক দুর্ঘটনায়। রিয়াধে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এই মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। সেই খবর পেয়েই দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে খোঁজখবর নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তাদের সব রকম ভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার মাঝরাতে মক্কা থেকে একটি বাসে করে উমরাযাত্রীরা মদিনায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় মুফরিহাটের কাছে একটি ডিজ়েল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে সেটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তার পরই বাসে আগুন ধরে যায়। ঘুমন্ত অবস্থাতেই ঝলসে মৃত্যু হয় ৪২ উমরাযাত্রীর। যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় যাত্রীরা সকলেই ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। ফলে সংঘর্ষের পর পরই বাসে আগুন ধরে যাওয়ায় যাত্রীরা বাসের বাইরে বেরিয়ে আসার সুযোগ পাননি।
খলিজ টাইম্স-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা এবং শিশু। ঝলসে যাওয়া দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শনাক্তকরণের কাজ চলছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, বাসযাত্রীদের মধ্যে এক জন বেঁচে গিয়েছেন। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই হায়দরাবাদের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই তেলঙ্গনা সরকার রিয়াধে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারকে সব রকম ভাবে সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
তেলঙ্গানার তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ডি শ্রীধর বাবু জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মৃতেরা সকলে মাল্লেপল্লি এলাকার। তবে শনাক্তকরণের কাজ চলছে। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি জানিয়েছেন, রিয়াধে ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন (ডিসিএম) আবু মাথেন জর্জের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁর কথায়, ‘‘হায়দরাবাদের দু’টি ট্র্যাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের কাছে যাত্রীদের সমস্ত তথ্য দিয়েছি। কেন্দ্র সরকার বিশেষ করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে অনুরোধ করেছি যাতে দেহগুলি দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায়। কেউ আহত হয়ে থাকলে তাঁর চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়।’’